চোখের অসুখ টারসাল সিস্ট

শীত ঋতু শেষ হলো। এখন পরিবর্তিত হয়ে এলো বসন্ত। এ সময়ে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন টারসাল সিস্ট রোগে। এটি এক ধরনের চোখের অসুখ, পরিচিত নাম ‘অঞ্জলি’। চিকিৎসকরা একে ক্যালাজিয়ন বলে থাকেন। শুধু যে ঋতু পরিবর্তনের জন্যই এ রোগের আবির্ভাবÑতা নয়; এর পেছনে রয়েছে অনেক কারণ।

কারণ
সাধারণত অপরিষ্কার হাতে চোখ কচলালে অথবা চোখের পাতা ও কোনায় ময়লা জমে গেলে এ সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ ভ্রমণের জন্যও রোগটি দেখা দিতে পারে। তাছাড়া চোখের ভেতরের পৃষ্ঠের নিচে অনেক ক্ষুদ্র গ্রন্থি আছে। এই গ্রন্থিগুলো চোখকে পিচ্ছিল করার জন্য এক ধরনের তৈলাক্ত তরল উৎপন্ন করে। গ্রন্থিগুলোতে যদি কোনো আবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তাহলে ওই তৈলাক্ত তরল আর নির্গত হতে পারে না। পরে এগুলো জমে অঞ্জলিতে পরিণত হয়।

লক্ষণ
টারসাল সিস্ট বা অঞ্জলি হওয়ার আগে চোখে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। পরে কয়েক দিন ব্যথা অনুভূত হয়। চোখ ফুলে যায়। লাল ভাব দেখা যায়। চোখের পাতায় ক্ষত বা র‌্যাশের সৃষ্টি হয়। বড় অঞ্জলি উঠলে চোখ অনেকটা ছোট হয়ে আসবে এবং চোখে কম দেখা যাবে। চুলকানির মতো অস্বস্তিও অনুভব হতে পারেন। চোখ দিয়ে পানি পড়বে।

সতর্কতা
টারসাল সিস্ট হওয়ার প্রবণতা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে সতর্কতা অবলম্বন করলে এর ঝুঁকি কিছুটা কমানো যেতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত নিরাময়ের চেষ্টা করতে হবে। এ সময় চোখের পাতা পরিষ্কার রাখতে হবে। হাত ও মুখ পরিষ্কার রাখা উচিত। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আক্রান্ত চোখের ওপর কয়েক মিনিট সেক দিতে পারেন। সেক দিলে তেলগ্রন্থিগুলোয় নতুন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা কিছুটা কমে যায়। চোখের যত্নে পেয়ারা পাতা খুবই উপকারী। টারসাল সিস্ট হলে পেয়ারা পাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করে সেই পাতার সেক দিন, আরাম পাবেন। প্রায়ই টারসাল সিস্টে আক্রান্ত হয়ে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কামরুন নাহার ঊষা

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০