পলাশ শরিফ: প্রায় এক যুগ আগে টঙ্গীতে বিশ্বমানের বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে ক্যাপিটা ভেঞ্চারস গ্রুপের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিডিএল)। ২০০৬ সালে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। নির্মাণাধীন ছয়তলা ভবনের দুটি ফ্লোরে প্রায় ৬০০ দোকানের পজেশন বিক্রি করা হয়। ২০০৯ সালের মধ্যেই দোকানের দখল বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চার বছরের বদলে ১০ বছরেও ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এখনও দোকানের দখল বুঝে পাননি ক্রেতারা। কালক্ষেপণের বৃত্তে ঘুরপাক করা ওই প্রকল্পে দোকান পাওয়া নিয়ে সংশয়ও বাড়ছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, রাজধানীর অদূরে টঙ্গী ওভারব্রিজের পাশে ছয়তলাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক বাণিজ্যিক ভবন গড়ে তুলছে ক্যাপিটা ভেঞ্চারস গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সিডিএল। সাড়ে ছয় বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা ‘ক্যাপিটা টাইমস স্কয়ার’ নামের ওই প্রকল্পে নিচ ও প্রথম তলায় ৩৫০ থেকে ৫০০ বর্গফুটের প্রায় ১ হাজার দোকান নির্মাণের কথা রয়েছে। যার মধ্যে ২০০৬ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রায় ৬০০ দোকানের পজেশন বিক্রি করা হয়েছে। শুরুতে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার হাজারে সীমাবদ্ধ থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রতি বর্গফুটের দাম পড়েছে গড়ে সাড়ে নয় থেকে ১০ হাজার টাকা। তিন বছর মেয়াদে দোকানের মূল্য পরিশোধের পর ২০০৯ সালের মধ্যেই দখল ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।
এরপর থেকে দফায় দফায় সময় বাড়ছে। প্রতিশ্রুত সময়ের ছয় বছরেও ওই ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছয়তলা ভবনের পাঁচতলা পর্যন্ত অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে। ষষ্ঠ তলার আংশিক ছাদ ঢালাইয়ের কাজও এখনও বাকি। দ্রুতগতিতে কাজ করলেও ওই দুটি ফ্লোরকে ব্যবসার জন্য উপযোগী করে তুলতে আরও এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতে পারে জানিয়েছে প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক সূত্র।
দোকানের একজন পজিশন ক্রেতা শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে ওই ভবনে পজিশন কিনেছি। সর্বশেষ ২০১০ সালের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে পজেশন বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কয়েক বছর ধরে শুধু ঘুরছি। দিচ্ছি-দেব করে সময় কাটানো হচ্ছে। এখনও কাজই শেষ হয়নি। বড় ধরনের বিনিয়োগ করে আটকে গেছি। তারা কাজ শেষ হচ্ছে বললেও অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। তারা আন্তরিক হলে অনেক আগেই কাজ শেষ করতে পারতো।’
ভুক্তভোগী ক্রেতাদের দেওয়া তথ্যমতে, ছয়-সাত বছর ধরেই প্রায় ৬০০ দোকানের মালিকরা নির্মাণাধীন ওই ভবনের দোকানের জন্য সিডিএলের দায়িত্বশীলদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। কাজ শেষ না হওয়ার জন্য বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে। কিন্তু বিনিয়োগ করা অর্থ কিংবা দোকানের পজিশনের আশায় কেউই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এর আগে একজন ক্রেতা পাওনা আদায়ের জন্য মামলা করেছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে জমা দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই বিক্রি করা দোকানের দখল বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিডিএলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। প্রকল্পের ধরন বদল, বাড়তি অর্থের জোগান, বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে জটিলতার কারণেই কালক্ষেপণ হচ্ছে বলে নির্মাণাধীন ভবন কর্তৃপক্ষের দাবি।
সিডিএলের এজিএম একরামুল হাসান এ বিষয়ে শেয়ার বিজকে বলেন, ‘বড় ধরনের প্রকল্পে সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা গ্রাহকদের চলতি বছরের জুনের মধ্যে দোকান বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নিচের দুটি ফ্লোরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। গ্লাস লাগানোর কাজ
Add Comment