স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন রাবেয়া বেগম। সমাজ ও সংসারের নানা টানাপড়েনেও নিজেকে অসহায় ভাবেননি কখনও। কখনও নিজেকে অবলা মনে করেননি তিনি। এ কারণে স্বল্প মূলধন পুঁজি করে নিজের ওপর ভরসা রেখে আট হাজার টাকায় ১০টি টার্কি কিনে পালন শুরু করেন। বিভিন্ন পত্রিকায় পড়ে জেনেছেন, তার চেয়ে কম শিক্ষিত নারীরাও টার্কি পালন করে সফল হয়েছেন। তাই নিজেকেও যোগ্য ও সংগ্রামী ভাবতে কষ্ট হয়নি তার।
নোয়াখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর গ্রামের মেয়ে রাবেয়া বেগম। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেও ভালো চাকরির সংস্থান হয়নি তার। বর্তমানে আইন বিষয়েও পড়ছেন তিনি। একমাত্র ছেলেকে মানুষ করার কর্তব্য ও দায়িত্ববোধ তারই কাঁধে।
রাবেয়া বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে নোয়াখালী যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন গবাদিপশু, পোলট্রি ও মাছ চাষের ওপর। বর্তমানে তার ছোট-বড় মিলে সাতটি বড় ও ১৩টি ছোট টার্কি রয়েছে। প্রতিদিন দুটি করে ডিম দিচ্ছে টার্কি। প্রতিটি ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন। বাচ্চা বিক্রি করছেন এক হাজার টাকায়।
রাবেয়া মনে করেন, ব্যাংক থেকে ঋণ পেলে নিজের ফার্মটি আরও প্রসারিত করা যেত। বর্তমানে কোয়েল পাখি পালন করতে শুরু করেছেন তিনি। কোয়েলের ডিমও বিক্রির ইচ্ছা রয়েছে তার। টার্কি ও কোয়েল পালনের পাশাপাশি টিউশনিও চালিয়ে যাচ্ছেন।
আত্মপ্রত্যয়ী রাবেয়া বলেন, ফার্মটি ভালোভাবে আয়ের উৎস হিসেবে দাঁড় করাতে পারলে টিউশনি ছেড়ে দেবেন।
আকাশ মো. জসিম, নোয়াখালী