নিজস্ব প্রতিবেদক: সদ্যসমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে। সর্বশেষ পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্ট। পিই বিবেচনায় সবচেয়ে বিনিয়োগ উপযোগী অবস্থানে রয়েছে ‘মৌলভিত্তি’খ্যাত ব্যাংকিং খাত। অন্যদিকে বিবিধ খাতের কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ ঝুঁকি বাড়ছে।
ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সার্বিক পিই রেশিও ১৬ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্টে অবস্থান করছে। যা এর আগের সপ্তাহেও ১৫ দশমিক ৮১ পয়েন্ট ছিল। আর পিই রেশিও ১৫ পয়েন্টের নিচে থাকলে বাজারে বিনিয়োগ উপযোগী বলে গণ্য করা হয়।
এদিকে খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যাংকিং খাতের পিই রেশিও ৯ দশমিক চার পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতের পিই রেশিও ৩০ দশমিক এক পয়েন্ট, সিরামিক খাতের পিই রেশিও ২২ দশমিক ছয় পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের পিই রেশিও ২২ দশমিক আট পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের পিই রেশিও ২৮ দশমিক ছয় পয়েন্ট, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের পিই রেশিও ১৩ দশমিক ৯ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতের পিই রেশিও ১৫ দশমিক সাত পয়েন্ট এবং তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের পিই রেশিও ২৬ দশমিক ছয় পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া পাট খাতের পিই রেশিও -১৫ দশমিক আট পয়েন্টে, বিবিধ খাতের পিই রেশিও ৩১ দশমিক তিন পয়েন্ট, নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের পিই রেশিও ৩১ দশমিক দুই পয়েন্ট, কাগজ খাতের পিই রেশিও -১১৫ দশমিক আট পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতের পিই রেশিও ১৯ দশমিক চার পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের পিই রেশিও ২৩ পয়েন্ট, চামড়া খাতের পিই রেশিও ২৪ দশমিক চার পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতের পিই রেশিও ২০ দশমিক এক পয়েন্ট, বস্ত্র খাতের পিই রেশিও ২৪ দশমিক পাঁচ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের পিই রেশিও ২১ দশমিক তিন পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ব্যাংকিংয়ে বিনিয়োগ ঝুঁকি কম

Add Comment