শেয়ার বিজ ডেস্ক: নি¤œতম সুদহারের ধাক্কায় আগের বছরের তুলনায় ২০১৬ সালে ইউরোপের ব্যাংকগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপে ক্রমবর্ধমান ঋণের খরচ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হতে পারেÑএ পূর্বভাসের কারণে ব্যাংকগুলোর বাজে অবস্থা শিগগিরই কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
নি¤œ সুদহার, অর্থ মুদ্রণ ও নগদ মজুতের জন্য শাস্তিযোগ্য চার্জের কারণে ১৯ দেশের ইউরো জোনের অর্থনীতি উজ্জীবিত করার প্রচেষ্টার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা ২০০৮-০৯ সালের বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রাক্কালের অবস্থা তৈরি করেছে। এ নীতি ইউরোপে রাজনৈতিকভাবে বিভেদ সৃষ্টিকারী হয়েছে। যার কারণে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিকে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এ নীতির কারণে বর্তমানে দুর্বল ব্যাংকগুলোর ওপর অতিরিক্ত খরচ আরোপ করা হয়েছে। যার কারণে সঞ্চয় তাদের কাছে লোভনীয় হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে এ ব্যাংকগুলো তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চার্জ পরিশোধের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ইউরোপের বড় ২০টি ব্যাংকের ওপর পরিচালিত রয়টার্সের এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ ব্যাংকগুলোতে মন্দা পরিলক্ষিত হয়েছে।
জরিপ পরিচালিত ব্যাংকগুলো
সাতটিতে ২০১৫ সালে নিট সুদ আয় কমেছে। ২০১৬ সালে এ ধরনের ব্যাংকের সংখ্যা ১২টিতে দাঁড়িয়েছে। যাদের গড় পতনের পরিমাণ সাত শতাংশের বেশি। যা ২০১৫ সালে পাঁচ শতাংশ ছিল।
এ ধরনের আয় নির্ধারিত সুদ, ঋণ ও আমানত খরচের পার্থক্যভেদে ভিন্ন হয়। এ কারণে উপার্জন ক্ষমতা কমতে থাকে, বিনিয়োগকারীরা যা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং তা বিভিন্ন খাতকে বিভক্ত করে রুগ্ন হতে বাধ্য করে।
অনেক ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদহার বাড়ানোর সুযোগকে তাদের জন্য আশার কারণ হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সুদহার বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বছরের শেষ পর্যন্ত ইউরো জোনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সহজ মুদ্রানীতিতে ফিরে আসবে বলে তারা আশা করছেন।
ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিবিষয়ক কমিটির সাবেক সদস্য এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক চার্লস গুড়হার্ট বলেন, সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রকে এ লক্ষ্যে নেতৃত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি একটি সম্প্রসারণমূলক রাজস্ব নীতির ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে সেখানে সুদহার বৃদ্ধি করা হবে, যার প্রভাব ইউরোপেও অনুভূত হবে বলে উল্লেখ করেন।
আশার আলো দেখছে ইউরোপের ব্যাংক

Add Comment