মুক্তিযুদ্ধের সাত নম্বর সেক্টর কমান্ডার কাজী নূরুজ্জামানের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২৫ সালের এ দিনে তিনি যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। কাজী নূরুজ্জামান ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ-ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৪৬ সালে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর আহ্বানে তিনি নৌবাহিনী থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চলে আসেন এবং ১৯৪৭ সালে দেরাদুনে রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি থেকে কমিশন লাভ করেন। ১৯৪৭-এর ১৫ আগস্টের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক আইন জারি করলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাদানুবাদে লিপ্ত হন। এ সময় তিনি লে. কর্নেল পদে পদোন্নতি পান এবং সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধকালে তিনি সেনাবাহিনীতে ফিরে যান এবং যুদ্ধ শেষে বেসামরিক পেশায় ফিরে আসেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাত নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাব পান। নব্বইয়ের দশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণ-আদালতের অন্যতম বিচারক ছিলেন তিনি।
কাজী নূরুজ্জামান ‘একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়’ গ্রন্থের অন্যতম সম্পাদক এবং ‘একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধ: একজন সেক্টর কমান্ডারের স্মৃতিকথা’, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনীতি’, ‘বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতি’, ‘স্বদেশ চিন্তা’ গ্রন্থের প্রণেতা। ২০১১ সালের ৬ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজকের দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি
# ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ শাসকরা ভারতবর্ষে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ঘোষণা করে
# ১৯০২ সালে বাংলায় অনুশীলন সমিতি গঠিত হয়
# ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগের সভায় শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হয়
# ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাষ্ট্রভাষা উর্দুর পক্ষে ভাষণ দিয়ে ছাত্রদের প্রতিবাদের সম্মুখীন হন
# ১৯৮২ সালে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন
# ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল-হাসান জন্মগ্রহণ করেন
