পুঁজিবাজারে জেনে-বুঝে বিনিয়োগের পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই ব্যবসায় আসার আগে অবশ্যই জেনে-বুঝে আসবেন। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার আগে ভাবা উচিত আপনি এই বাজার সম্পর্কে কতটা জানেন। কাজেই যাদের এই বাজার সম্পর্কে জ্ঞান কম তাদের এখানে না আসাই উচিত।

গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত ‘বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা কনফারেন্স ঢাকা-২০১৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবেন তাদের অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদি চিন্তাভাবনা করতে হবে। কারণ জেনে-বুঝে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারী ঠকেন না। আশা করি আপনারাও ঠকবেন না।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারকে পেছনে ঠেলে দিয়ে অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার কথা চিন্তা করা যায় না। তাই পেছনের সব ভুল সমাধানের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বাজার উন্নয়নের জন্য আমি মাঝেমধ্যে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনায় বসব। আপনারা নিজেদের এবং আমার ওপর বিশ্বাস রাখবেন। দেশের অর্থনীতি যত বড় হবে, পুঁজিবাজারও তত বড় হবে।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য শিক্ষা নিতে হবে। ঠিক করতে হবে আমরা কোথায় যাচ্ছি। এটা মাছ বাজার বা কাঁচা বাজার নয়। এ বাজার আমাদের দ্বারাই পরিচালিত। আমরাই খরিদ্দার আবার আমরাই বিক্রেতা। এটাও ঠিক যে, এখানে কেউ কেউ খুব তাড়াতাড়ি বড় লোক হওয়ার জন্য আসে। আমরা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য মিথ্যা রটিয়ে আরেকজন ঠকাই। এটা ঠিক না। তাই এই বাজারের সবাইকে ভালো বলা যাবে না। অনেকেই দ্রুত লাভবান হতে চায়। এটা করতে গিয়ে অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু মানুষ আছে লাভবান হতে তারা কান কথা বলে, গুজব রটায়। মিথ্যা কথা বলে। এটা না করে আমাদের সবাইকে মিলেমিশে লাভবান হতে হবে। আমাদের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার একসঙ্গে গাঁথা। পুঁজিবাজার অর্থনীতির প্রাণ স্পন্দন। এখানে বিনিয়োগকারীদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাদের ছাড়া অর্থনীতির চাকা ঘুরবে না। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে। সকালে শেয়ার কিনে বিকালে বিক্রি করার জায়গা এটা না।

তিনি বলেন, আমি নিজে পুঁজিবাজারের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বিনিয়োগকারীরা আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। সম্ভব হলে ব্যক্তি পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সম্পর্কে পরামর্শ দিতাম। তবে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির মাধ্যমে দলবদ্ধ হয়ে পরামর্শ নিতে পারেন।অর্থমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের পুঁজিবাজারেই পতন হয়। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ভারতে ২০০৮ সালে, জাপানে ১৯৮৯ সালে, আমেরিকায় ২০০৮ সালে সূচকের ব্যাপক পতন হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে তা আবার পূরণ হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, ড. স্বপন কুমার বালা ও খন্দকার কামালউজ্জামান।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০