ব্যাংকের করপোরেট গভর্ন্যান্স ঠিক করা জরুরি

ব্যাংকের সুদহার কমাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও সুদহার কমাতে বলেছেন। দেশকে বাঁচাতে হলে বিদেশি ঋণ কমাতে হবে। দেশে প্রচুর বিদেশি ঋণ আসছে। যদি এটি রি-পেমেন্ট শুরু হয় সেক্ষেত্রে ডলারের ওপর বড় একটা চাপ পড়বে। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে না। এর সঙ্গে ব্যাংকের করপোরেট গভর্ন্যান্স ঠিক করাও জরুরি। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়। আহমেদ রশীদ লালীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মাহমুদ হাসান, এফসিএ এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন, এফসিএ।
মাহমুদ হোসেন বলেন, দুটি বিষয় বাজারকে আতঙ্কিত করেছে। প্রথমটি হলো গত বুধবার একটি পত্রিকায় এসেছে বাজারে সব বিনিয়োগকারীর জন্য টিআইএন নম্বর বাধ্যতামূলক হচ্ছে। এর ফলে ওইদিন বাজার নিম্নগতির দিকে ছিল। আসলে ওই পত্রিকার খবরটি সত্য নয়। আরেকটি হচ্ছে প্লেসমেন্ট শেয়ার। এ মুহূর্তে প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এর ফলেও বাজারে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আসলে বাজার নিয়ে যারা বিভিন্ন সংবাদপত্রে রিপোর্ট তৈরি করেন, তারা চান না বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ুক। কিন্তু বাজার সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরি করতে হলে আগে বাজার সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখানে কিছুটা দক্ষতার অভাব রয়েছে। এখন কথা হচ্ছেÑরিপোর্টার হিসেবে যদি কোনো ভুল করে থাকে সেক্ষেত্রে পুনরায় ওই সংবাদের রিভিউ করার কথা। কারণ যেখানে তিন থেকে চার মাস ধরে বাজার নেতিবাচক অবস্থানে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আস্থাহীনতা রয়েছে। সেখানে দায়িত্বহীনভাবে এ ধরনের রিপোর্ট করাটা উদ্বেগজনক। সংবাদপত্রে বাজারসংশ্লিষ্ট কোনো রিপোর্টে ভুল হলে সেটা পুনরায় রিভিউ করা হয় না বা খুব কম হয়। এ বিষয়ের প্রতি জোর দেওয়া উচিত। যাতে করে বাজারের কোনো ক্ষতি না হয়। আবার টিআইএন থাকলেই যে তাকে বেশি কর দিতে হবে তা কিন্তু নয়। মোট আয়ের ওপর কর ধরা হয়। বিনিয়োগকারীদের মনে রাখতে হবে বাজার থেকে ওই পরিমাণ আয় না হলে তাকে কর দিতে হবে না।
মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন বলেন, বাজারে টিআইএন নিয়ে এর আগেও কথা উঠেছিল। ওই সময় বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা টিআইএন নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করল তাদের ওই সময়ের রিপোর্টটা ভালো করে দেখা উচিত ছিল। এখন বাজার যে অবস্থা তাতে এ সময়ে এ ধরনের রিপোর্ট কাম্য নয়। আসলে এখানে কিছু কারণ রয়েছে। যারা ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্ট করে তাদের মধ্যে দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্ট করতে যে পরিমাণ দক্ষতা লাগে সে রকম দক্ষতা দেখা যায় না। কারণ সবাই তো একই বিষয় থেকে আসে না। তাই কোনো ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্ট করার আগে ওই বিষয়ে পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের সুদহার কমাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও সুদহার কমাতে বলেছেন। দেশকে বাঁচাতে হলে বিদেশি ঋণ কমাতে হবে। দেশে প্রচুর বিদেশি ঋণ আসছে। যদি এটি রি-পেমেন্ট শুরু হয় সেক্ষেত্রে ডলারের ওপর বড় একটা চাপ পড়বে। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে না। এর সঙ্গে ব্যাংকের করপোরেট গভর্ন্যান্স ঠিক করা অতি জরুরি।

শ্রুতিলিখন: শিপন আহমেদ

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০