সম্প্রতি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর ২.০’ প্রোগ্রামের জন্য দেশব্যাপী আবেদনপত্র গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণফোন।
চলতি বছর ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর ২.০’ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্ভাবক ও স্টার্টআপদের কাছে পৌঁছানোর পদক্ষেপ নিয়েছে গ্রামীণফোন। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্ভাবক ও স্টার্টআপদের ধারণাকে প্রি-অ্যাকসেলেরেটরের মাধ্যমে মিনিমাম ভায়াবল প্রডাক্টে রূপান্তরে সহায়তা করাও প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্ভাবক ও স্টার্টআপরা www.grameenphone.com/gp-accelerator-২.০ ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে পারবে। প্রি-অ্যাকসেলেরেটর ধাপে ২৫টি নির্বাচিত স্টার্টআপকে পণ্য গবেষণা, নকশা, বৈধতা ও প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ১৫ মে পর্যন্ত প্রি-অ্যাকসেলেরেটর রাউন্ডের জন্য আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
তুলনামূলক দক্ষ স্টার্টআপগুলো আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত সরাসরি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবে। ২০১৫ সালে ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৬টি স্টার্টআপের মধ্যে ১৯টি তাদের সেবা ও পণ্য বাণিজ্যিকভাবে চালু করেছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান মাইকেল ফোলি বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে গ্রামীণফোন সরকারের সঙ্গে সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, দেশজুড়ে উচ্চগতির ডেটা নেটওয়ার্ক তৈরি ছাড়াও গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণদের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হেড অব স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম মিনহাজ আনওয়ার বলেন, বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে কয়েক ধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর ২.০ বিশেষ ভূমিকা রাখবে।