২০১০ সালে ‘ধ্রুবতারা’র যাত্রা শুরু। আবৃত্তি, মঞ্চনাটক, নাচ, গান, অভিনয়সহ সংস্কৃতির প্রায় সব অঙ্গনে এ সংগঠনের শিল্পীদের স্বচ্ছন্দ বিচরণ। মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সংগঠন নিয়ে লিখেছেন মীর মাইনুল ইসলাম
‘সংস্কৃতির পাল ছেয়ে, প্রযুক্তির হাল বেয়ে সভ্যতার বন্দরে গাঁথব নোঙ্গর’ধ্রুবতারা ক্লাবের মূলমন্ত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশ গেট দিয়ে একটু এগোলেই চোখে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য ‘প্রত্যয় একাত্তর’। এ ভাস্কর্যের পাশে ছোট্ট একটি ঘরে বসে ধ্রুবতারার নিত্য আড্ডা ও সংস্কৃতিচর্চা।
শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গন মাতিয়ে রেখেছে ধ্রুবতারা। আবৃত্তি, মঞ্চনাটক, নাচ, গান, অভিনয়সহ প্রায় সব ক্ষেত্রে রয়েছে ক্লাব সদস্যদের আনাগোনা। ধ্রুবতারার কয়েকটি উপসংগঠন রয়েছে। যেমন আবৃত্তিচর্চার জন্য রয়েছে ধ্রুব আবৃত্তি সংসদ। মঞ্চনাটকের জন্য রয়েছে ধ্রুব থিয়েটার। নিয়মিত নৃত্যশিল্পী ও সিনেমার অভিনেতা তৈরি করছে তাদের প্রোডাকশন হাউজ ‘যাযাবর’। ব্যান্ড সংগীতের জন্য রয়েছে ‘মাত্রা’ নামে ব্যান্ডদল।
ধ্রুবতারার বর্তমান সভাপতি মো. মাসুদুর রহমান জানান, ২০১২ সালে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে ‘প্রতিধ্বনি’ নামে একটি আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ‘ভাজপত্র’ বের করে তাদের সংগঠন। সেখানে অংশগ্রহণকারীদের সেরা ২১টি কবিতা স্থান পায়। এছাড়া বছরের নানা সময়ে ফানুস, ঘুড়ি, পিঠা উৎসবের আয়োজন করে থাকে এ ক্লাব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতিচর্চায় উদ্বুদ্ধ করছে এ সংগঠন। এমনই মনে করেন ক্লাবের একজন সদস্য তমাল সপ্তক অভি। তার বিশ্বাস, এ চর্চার ফলে কেবল ক্লাব সদস্যদেরই সুনাম হচ্ছে না, লাভবান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিমনা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উপলক্ষ যা-ই হোক প্রতি সপ্তাহে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে ধ্রুবতারা। সংগঠনটির উপদেষ্টা ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম মনে করেন, মাভাবিপ্রবির প্রাণ ধ্রুবতারা।
Add Comment