নিজস্ব প্রতিবেদক: লবণের চাহিদা ও উৎপাদন নিয়ে বিসিকের ‘মনগড়া’ তথ্যের সুরাহা ও লবণমিশ্রিত বিষাক্ত সোডিয়াম সালফেট বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দেশের লবণশিল্প মালিকরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ হস্তক্ষেপ কামনা করে।
কয়েক বছর ধরে উৎপাদন ও চাহিদা নিয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং দেশের লবণশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির মধ্যে মতবিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি এখতিয়ার-বহির্ভূতভাবে বিসিকের নতুন চেয়ারম্যান চাহিদা ও উৎপাদন নির্ধারণ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই মনগড়া তথ্য দিয়ে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে ২০১৯ সালে লবণের কোনো ঘাটতি নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
লবণ মিল মালিক সমিতি জানায়, লবণ মৌসুমে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কাক্সিক্ষত মাত্রায় লবণ উৎপাদন করা হয়নি। এছাড়া মহেশখালী ও বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের প্রয়োজনে লবণের মাঠ অধিগৃহীত হওয়ায় লবণ উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় এ বছরও লবণের চার থেকে ছয় লাখ টন ঘাটতি হতে পারে। কিন্তু বিসিক দাবি করেছে, লবণের কোনো ঘাটতি নেই, যেটি সঠিক নয়।
বিসিকের মনগড়া তথ্যের কারণে লবণমিশ্রিত বিষাক্ত সোডিয়াম সালফেট আমদানি হচ্ছে এবং দেদারে খাবার লবণ হিসেবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে একদিকে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছে, অন্যদিকে দেশীয় লবণ অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি ‘লবণের চাহিদা ও উৎপাদন’ নিয়ে বিসিকের মনগড়া তথ্যের সুরাহা ও লবণমিশ্রিত বিষাক্ত সোডিয়াম সালফেট বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে দেশীয় লবণশিল্প মালিক এ দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে চারটি দাবি জানানো হয়। যথা উৎপাদন ও চাহিদার সঠিক তথ্য নিরূপণ; সোডিয়াম সালফেটের বাণিজ্যিক আমদানি নিষিদ্ধকরণ; লবণ মিল মালিকদের ইস্যুকৃত বন্ড লাইসেন্স বাতিল ও নতুনভাবে কোনো বন্ড লাইসেন্স না দেওয়া এবং দেশীয় লবণ মিল ও চাষিদের রক্ষায় দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা লবণশিল্প মালিকদের
