যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকতে চায় মানুষ। মৃত্যুকে জয় করতে চায়; কিন্তু মানুষ মরণশীল! দীর্ঘ জীবন উপভোগ করা সাতরাজার ধন পাওয়া থেকেও মূল্যবান। তবে নশ্বর পৃথিবীতে কিছু দেশ রয়েছে, যেগুলোর মানুষ বেঁচে থাকে শতবছর। এ যুগে শতবছর বেঁচে থাকা অস্বাভাবিক বিষয়; কিন্তু সেসব দেশে যেন বেশ স্বাভাবিক। দেখে নিতে পারেন এমন পাঁচটি দেশকে।
জাপান
বিশুদ্ধ খাবার আর কর্মচঞ্চল জীবনশৈলী জাপানের অধিবাসীদের দীর্ঘ জীবনের মূলমন্ত্র। এখানকার ওকিনাওয়া দ্বীপে রয়েছেন অনেক শতবর্ষী মানুষ। এ দ্বীপকে ডাকা হয় ‘দ্য ল্যান্ড অব ইমমর্টালস’ বলে। এখানের লোকেরা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পাশাপাশি অনুশীলন করে ‘ইকিগাই’ নামের একটি বিশেষ ধরনের ব্যায়াম। তাছাড়া প্রচুর হাঁটাহাঁটি করে তারা। হাঁটলে শরীর সুস্থ থাকে ও জীবন দীর্ঘায়ু হয়। এর প্রমাণ জাপান।
ইতালি
ইতালির জীবন মানেই নিজের জন্য পর্যাপ্ত ও গুণগত মানসম্পন্ন অবসর। দারুণ পারিবারিক বন্ধন, হাঁটাহাঁটি আর প্রচুর সূর্যালোক! ফলে এখানকার মানুষ শতবছর বেঁচে থাকে। এছাড়া ইতালির সার্ডিনিয়া দ্বীপের অধিবাসীদের মধ্যে পাওয়া যায় এক বিরল জিনগত বৈশিষ্ট্য। এ বৈশিষ্ট্যের কারণে দীর্ঘায়ু হয় তাদের জীবন।
ইসরাইল
ইসরাইলের খাদ্যাভ্যাসে রয়েছে সুস্পষ্ট ভূমধ্যসাগরীয় প্রভাব। সে সঙ্গে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ অনেকটা দৃঢ়। আর এ বিষয়গুলোই অবদান রাখে তাদের দীর্ঘ জীবন প্রাপ্তিতে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইসরাইলে মদ্যপানের মাত্রা পুরো বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। স্বাস্থ্য বিষয়ে বেশ সচেতন হওয়ার কারণেই তারা দীর্ঘায়ু জীবন উপভোগ করছে।
দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের গড় আয়ু বিশ্বে প্রথম। ৯০ বছরের ওপরে গড় আয়ু তাদের। গবেষকরা এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন। গবেষণায় প্রমাণিত, কোরিয়ানরা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে; তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে সুষম খাবার আর প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ সবুজ সবজি।
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ডের অধিবাসীরাও স্বাস্থ্যকর জীবনব্যবস্থা অনুসরণ করে। এ রাষ্ট্রের মানুষ সুখী ও উন্নত জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাদের খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যসম্মত। খাদ্যতালিকায় আছে চকোলেট, যা কিনা রক্তচাপজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সুইজারল্যান্ডের বিশুদ্ধতম পানি প্রভাব রাখে তাদের দীর্ঘজীবনে।