নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশেষ সুবিধার আওতায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল বা এককালীন পরিশোধ (এক্সিট প্ল্যান) সুবিধা গ্রহণের আবেদনের মেয়াদ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ-বিআরপিডি সার্কুলার নং ৫-এর আওতায় সুবিধা নিতে ঋণ গ্রহীতারা আবেদন করতে পারবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা জারি করে।
ব্যাংক খাতের ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংক বিআরপিডি সার্কুলার নং-৫ জারি করে। এতে ন্যূনতম দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পুনঃতফসিল করার সুযোগ দেওয়া হয় খেলাপি গ্রাহকদের। ওই সার্কুলারের সুবিধা পেতে হলে খেলাপি গ্রাহকদের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। তবে হাইকোর্টের কয়েক দফা নির্দেশে ওই সার্কুলারের কার্যকরিতা স্থগিত রাখা হয়। এরপরে আপিল বিভাগ ৮ জুলাই ফের বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ নং সার্কুলারের কার্যকারিতা সক্রিয় করলেও আবেদনের শেষ তারিখ নিয়ে অস্পষ্টতা দেখা দেয়।
কেননা সার্কুলার প্রকাশের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আবেদন করতে হলে আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে হতো। কিন্তু হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে সার্কুলারের কার্যকারিতা দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করায় ৯০ দিন আবেদনের সময় ব্যবসায়ীরা পাননি। তাছাড়া সামনে কোরবানির ঈদ থাকায় এখন অনেক ব্যবসায়ী ডাউন পেমেন্ট দেওয়ার টাকা জোগাড় করতে পারছেন না। তারা বলছেন, ঈদের পরে আবেদনের সময় পাওয়া গেলে টাকা জোগাড় করা সহজ হবে।
যদিও এ বিষয়ে আবেদনের সময় বাড়ানো হবে এমনটা আগেই আশ্বস্ত করে আসছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সপ্তাহখানেক আগে বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনে এসে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আবেদনের সময় বাড়ানো হবে। আমরা দরকার হলে আদালত থেকে সময় বাড়িয়ে আনব।’
সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ট্রেডিং খাত (গম, খাদ্যদ্রব্য, ভোজ্যতেল ও রিফাইনারি), জাহাজ শিল্প (শিপব্রেকিং ও শিপবিল্ডং) এবং লৌহ ও ইস্পাত শিল্প, বিশেষায়িত ব্যাংকের অকৃষি খাতের আমদানি-রফতানি সম্পৃক্ত ঋণ এবং অন্যান্য খাতে ব্যাংক কর্তৃক বিশেষ নিরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত প্রকৃত ব্যবসায়ী যাদের ঋণ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে মন্দ বা ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত বা খেলাপিতে পরিণত হয়েছে তাদের ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে পুনঃতফসিল বা এক্সিট সুবিধা দেওয়া যাবে। এ খাত বা উপখাতগুলোর যেসব ঋণ গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মন্দ বা ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ছিল সে ঋণগুলো এ সুবিধার আওতায় আসবে।
ঋণ পুনঃতফসিল ও এক্সিট সুবিধা পেতে আবেদন ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
