স্বর্ণদ্বীপের দুধ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার স্বর্ণদ্বীপের দুধ পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। সম্প্রতি এ দ্বীপের মহিষ বাতাইন্না ও ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।
সফি আলম বাতাইন্না বলেন, আমি দুবছর ধরে কয়েকজন মালিকের আড়াইশ’ মহিষ পালন করছি। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন প্রায় ১০০০ লিটার দুধ পাওয়া যায়। এখান থেকে ব্যাপারীরা প্রতি লিটার দুধ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় কিনে থাকেন। পরে সোনাপুর বাজারে পাইকারি দরে বিক্রি করেন তারা। এ চরের মহিষের সংগৃহীত দুধ খাঁটি বলে জানিয়েছেন ব্যাপারীরা। ঝড়ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলার অনেক মালিকের মহিষ পালন করছেন এ দ্বীপের ১০ বাতাইন্না।
সোনাপুর বাজার থেকে পাইকারি দরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন, নিজাম মিঞা, কালাম আলী ও অলি উদ্দিনসহ কয়েকজন দুধ ব্যবসায়ী। তারা জানান, সোনাপুর বাজারে প্রতি লিটার ৫০ টাকা ধরে বিক্রি করা হয়। দুধের পরিবহন খরচ রয়েছে। প্রতিদিন সংগৃহীত ড্রামভর্তি দুধ বেলা ২টা থেকে ৩টার মধ্যে সোনাপুর বাজারে পৌঁছে দিতে হয়।
জানা যায়, জেলার সুবর্ণচরের ছোলেমান বাজার এলাকার স্থানীয় ১৬ দুধ ব্যবসায়ী এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ব্যবসায়ী একরাম মিয়া বলেন, স্বর্ণদ্বীপের সংগৃহীত দুধের ব্যবসা চালিয়ে ভালোই চলছে সংসার। সব ব্যবসায় ঝুঁঁকি রয়েছে। এ ব্যবসাও ঝুঁকি নিয়ে করছি।
আবু তাহের ও জাফর আহমেদ বাতাইন্না বলেন, অনেক সময় ঝড়বৃষ্টির ছোবলে অনেক মহিষ নদীতে হারিয়ে যায়। আর হারানো মহিষের দায়ে মালিকরা নানাভাবে দোষারোপ করেন তাদের।

আকাশ মো. জসিম, নোয়াখালী

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০