সূচকের পতনে গ্রামীণফোন স্কয়ার ফার্মা ও বিএটিবিসির ভূমিকা বেশি

রুবাইয়াত রিক্তা: ছয় কার্যদিবসের টানা পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ফের পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে। গতকাল এর অবস্থান ছিল চার হাজার ৯৮৬ পয়েন্টে। এর আগে গত ২২ জুলাই ডিএসইএক্স সূচক চার হাজার ৯৬৬ পয়েন্টে নেমে এসেছিল। এরপরে বাজার ধীরে ধীরে ইতিবাচক হলেও গত দুই সপ্তাহ ধরে পতনের ধারায় রয়েছে। গতকাল ৪৭ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। আর সূচকে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, বিএটিবিসির বড় দরপতন। গতকাল গ্রামীণফোনের দর সাড়ে সাত টাকা, স্কয়ার ফার্মার তিন টাকা ১০ পয়সা ও বিএটিবিসির দর প্রায় ১৯ টাকা কমেছে। এছাড়া সব খাতেই দরপতনের হার বেশি ছিল। তুলনামূলক ভালো ছিল বিমা খাত। গতকাল রেকর্ড ডেটের পর বেশ কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ডের দর সমন্বয় হয়। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে লেনদেনের শীর্ষে থাকা বেশ কয়েকটি কোম্পানি যেমন, মুন্নু সিরামিক, মুন্নু জুট স্টাফলার্স ও স্টাইল ক্রাফট ও ইউনাইটেড পাওয়ারের দর সংশোধন হয়। যার প্রভাবেই বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত থাকে।
গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ শতাংশ বা প্রায় ৮০ কোটি টাকা লেনদেন হয় ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এ খাতে ৩৭ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। এ খাতের রেনাটার সাড়ে ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ২৯ টাকা ৩০ পয়সা। সিলকো ফার্মার প্রায় ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ৩০ পয়সা। স্কয়ার ফার্মার সাড়ে ৯ কোটি টাকা লেনদেন হলেও তিন টাকা ১০ পয়সা দরপতন হয়। সাড়ে পাঁচ শতাংশ দর বেড়ে সিলভা ফার্মা দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৬ শতাংশ। এ খাতে ৫৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। মুন্নু জুট স্টাফলার্সের সাড়ে ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হলেও ৪১ টাকা দরপতন হয়। সাড়ে সাত শতাংশ দর বেড়ে কে অ্যান্ড কিউ দর বৃদ্ধিতে চতুর্থ অবস্থানে উঠে আসে। নাভানা সিএনজির সাড়ে চার শতাংশ ও কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের প্রায় চার শতাংশ দর বেড়ে কোম্পানি দুটি দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১০ শতাংশ। এ খাতে ৪৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। স্টাইল ক্রাফটের প্রায় ১৬ কোটি টাকা লেনদেন হলেও প্রায় ২৫ টাকা দর সংশোধন হয়েছে। এর আগে টানা তিন দিনে ৭৫ টাকা দর বেড়েছে কোম্পানিটির। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে লেনদেন হয় ৯ শতাংশ। এ খাতে ৬৮ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের সি পার্ল রিসোর্ট দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। চামড়া শিল্প খাতের ফরচুন শুজের সোয়া ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে আড়াই টাকা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। লেনদেন না বাড়লেও বিমা খাতে ৫৯ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রায় চার শতাংশ দর বেড়েছে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের। এছাড়া তিন মিউচুয়াল ফান্ড দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে এবং সাতটি দরপতনের শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০