মার্কিন এই চলচ্চিত্রকার ১৯২৮ সালের ২৬ জুলাই ম্যানহাটনে জš§গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একই সঙ্গে নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক, চিত্রগ্রাহক, সম্পাদক ও আলোকচিত্রী। তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে বেশ কয়েকবার অস্কারের জন্য মনোনীত হন। ১৯৯৬ সালে তার নির্মিত চলচ্চিত্র ‘২০০১: এ স্পেস অডিসি’ ভিজুয়াল ইফেক্ট বিভাগে অস্কার জেতে। এছাড়া তার কয়েকটি ছবি বিভিন্ন সময় নানা বিভাগে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়। তাকে চলচ্চিত্র ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা সৃজনশীল ও প্রভাবশালী নির্মাতাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। কুবরিকের চলচ্চিত্রের অধিকাংশই বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যকর্মের চিত্ররূপ।
কুবরিক সুদীর্ঘ চলচ্চিত্র জীবনে মাত্র ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার প্রায় সবগুলো সিনেমাই বিশ্ব চলচ্চিত্রে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছে। তার সিনেমা ক্যারিয়ারের মূল বৈশিষ্ট্য বৈচিত্র্য; বিভিন্ন ধরনের ছবি বানিয়েছেন তিনি।
১৩ বছর বয়সে কুবরিক বাবার কাছ থেকে একটি ক্যামেরা পেয়েছিলেন। ক্যামেরা হাতে ছবি তুলে বেড়ানো সে সময় তার অন্যতম শখ ছিল। এছাড়া কৈশোরে জ্যাজ সংগীতের প্রতি আসক্ত ছিলেন তিনি। কুবরিক একাডেমিক পড়াশোনায় তেমন ভালো ছিলেন না। ১৯৪৫ সালে হাইস্কুল পাস করার পর উচ্চশিক্ষা নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একে তো তার রেজাল্ট খারাপ, তার ওপর তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে ফিরে আসা অসংখ্য হাইস্কুল পাস ছাত্রের চাপ। সব মিলিয়ে তাই আর উচ্চশিক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি তার। পরবর্তী জীবনে কুবরিক স্কুলে তার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। স্কুলের কোনো কিছুই তাকে আকৃষ্ট করেনি। বিভিন্ন সময় একাডেমিক শিক্ষারও অনেক সমালোচনা করেছেন তিনি।
হাইস্কুলে থাকতেই তার ছবি তোলার শখটা প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তিনি স্কুলের অফিসিয়াল আলোকচিত্রীর সম্মান পেয়েছিলেন। তখন তিনি ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এ সময় তার কিছু ছবি লুক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। ১৯৪৬ সালে লুক ম্যাগাজিনে আলোকচিত্রীর চাকরি পান।
লুক ম্যাগাজিনে থাকতেই ১৯৪৮ সালের ২৯ মে কুবরিক টোবা মেৎসকে বিয়ে করেন। ১৯৫১ সালে তাদের বিেেয়বিচ্ছেদ ঘটে। এ সময় থেকে প্রচুর সিনেমা দেখা শুরু করেন তিনি। মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে নিয়মিত যেতেন। এছাড়া নিউইয়র্ক সিটিতে মুক্তি পাওয়া কোনো সিনেমাই বাদ যেতো না।
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রÑ‘ফিয়ার অ্যান্ড ডিজায়ার’, ‘কিলার্স কিস’, ‘স্পার্টাকাস’, ‘লোলিটা’, ‘২০০১: এ স্পেস অডিসি’, ‘দ্য শাইনং’, ‘ফুল মেটাল জ্যাকেট’, ‘আইস ওয়াইড শাট’।
Add Comment