সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)-এর আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত তিন তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের (পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল) সমন্বিত নিট মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমেছে। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ তিন তেল বিপণনকারী কোম্পানির সমন্বিত নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল ৫৬৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর আগের অর্থবছরে (২০১৪-১৫) এর পরিমাণ ছিল ৬২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা কমেছে ৫৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়, বেসরকারি খাতে জ্বালানি তেল আমদানি ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের চাহিদা হ্রাসের কারণে বিক্রি কমে যাওয়ায় মুনাফা কমেছে বলে মনে করছে বিপিসি।
বিপিসি সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের মোট ৫২ লাখ ৫৬ হাজার টন জ্বালানি তেল বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ডিজেল বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ ৬ হাজার ৪০৪ টন, ফার্নেস অয়েল সাত লাখ ১১ হাজার ৮৮৯ টন, জেট এ ওয়ান তিন লাখ ৪৭ হাজার ৩২৩ টন, অকটেন এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৭ টন, পেট্রল এক লাখ ৩৭ হাজার ৩৬০ টন এবং দুই লাখ ১৩ হাজার ৬৮৫ টন কেরোসিন বিক্রি হয়েছে।
কোম্পানি তিনটির সমন্বিত নিট
মুনাফা কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিপিসি’র চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম শেয়ার বিজকে বলেন, ‘এখন বেসরকারিভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান জ্বালানি তেল আমদানি করছে। পাশাপাশি বাজারের কিছু কিছু পণ্যের চাহিদাও আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। ফলে অধিকাংশ পেট্রোলিয়াম পণ্যের বিক্রয়ের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতির এ যুুগে বাজারের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের আগামীর বাজার সম্পর্কে আরও ভাবতে হবে।’
বিপিসি জানায়, গত অর্থবছরে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের জ্বালানি তেল বিক্রির পরিমাণ হচ্ছে ১৭ লাখ ৯২ হাজার টন। আর এতে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১৮৫ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পদ্মা অয়েল লিমিটেডের মোট জ্বালানি বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৭১ হাজার টন। আর এতে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১৮৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
যমুনা অয়েল লিমিটেডের মোট জ্বালানি বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৬ হাজার টন। আর এতে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১৯৫ কোটি ৯ লাখ টাকা।
Add Comment