‘মিয়ানমার তুরস্ক ও মিসর থেকে আনা হবে পেঁয়াজ’

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। পেঁয়াজ আমদানি ও বাজারজাত সহজ ও দ্রুত করতে সরকার ইতোমধ্যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং তদারকি জোরদার করেছে। প্রতিবেশী ভারত প্রতি টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইজ (এমইপি) নির্ধারণ করার কারণে বাংলাদেশ এখন মিয়ানমার, তুরস্ক, মিসর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে।
গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের আমদানিকারক ও পাইকারি ও খুচড়া ব্যবসায়ীগণের সঙ্গে বাজারদর সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা সভায় বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, মিয়ানমার থেকে ইতোমধ্যে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন আমদানির পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজরগুলোতেও দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। পাশাপাশি মিসর ও তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে এগুলো বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। তাছাড়া ভারত থেকে নতুন পেঁয়াজ শিগগিরই বাজারে আসছে। বিভিন্ন হাট-বাজারের পেঁয়াজ দ্রুত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশে পেঁয়াজের মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো বাজারেই পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, মূল্য দ্রুত কমে আসছে।
বাণিজ্য সচিব উপস্থিত পেঁয়াজ আমদানিকারক ও পাইকারি ও খুচড়া ব্যবসায়ীগণের কাছ থেকে আমদানি, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীগণ জানান, পেঁয়াজের বর্তমার মূল্য খুবই সাময়িক। ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, আমদানিও বাড়ছে। সরকারের চলমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকায় পেঁয়াজের বাজার দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) শাখাওয়াত হোসেন, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা প্রমুখ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০