নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে চার টাকা ৭৮ পয়সা, আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৪০ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে পাঁচ টাকা ৬৭ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কমপ্লেক্সে (কেআইবি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ অক্টোবর।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ২৩ শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪১ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪১ টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর কোম্পানিটির ৩৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫১টি শেয়ার মোট এক হাজার ৭২৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৪ কোটি ৮৭ লাখ তিন হাজার টাকা। ওই দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪২ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৫২ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৪০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৩১ টাকা ২৬ পয়সা। ওই সময় মুনাফা করেছে ৪৬৯ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর আগে ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৩০ লভ্যাংশ দেয়। ওই সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ৭৫ পয়সা এবং এনএভি ২৯ টাকা দুই পয়সা। মুনাফা করেছে ৬১৩ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ৯ দশমিক ৪৩ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে আট দশমিক ৬৮। কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
