নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হার্ট সেন্টারে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেন, বর্তমানে হৃদরোগ বিশ্বের এক নম্বর ঘাতক ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের মৃত্যু হয় এ রোগে, যা ২০৩০ সাল নাগাদ দুই কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে গতকাল রোববার মেট্রোপলিটন হার্ট সেন্টারের উদ্যোগে শোভাযাত্রা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতালের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি চট্টগ্রাম ডিভিশনের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোস্তফা কামাল। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. একেএম ফজলুল হক, যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এফএআর শোকরানা, মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. ফজলে আকবর, কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি ও ক্যাথ ল্যাব ডিরেক্টর ডা. এএম শফিক, হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সারওয়ার কামাল, কার্ডিওলজিস্ট ডা. আখতার হোসাইন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যদি আপনার হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তবে এর অর্থ হলো আপনারও হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে। ধূমপান, জাঙ্ক ফুড ও ব্যায়ামের অভাব এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। এক সময় বয়স্করা হৃদরোগ ঝুঁকিতে থাকলেও বর্তমান ৫০-এর কম বয়সী মানুষ বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে হৃদরোগ বাংলাদেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সবার আগে হৃৎ-স্বাস্থ্যের ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনো রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। হৃদরোগের ক্ষেত্রে তা বেশি প্রযোজ্য। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হৃদরোগ ঝুঁকিতে রয়েছে তুর্কমেনিস্তান। বাংলাদেশের অবস্থান ১০৪-এ। সেক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রথম বিশ্ব হার্ট দিবস পালন করা হয় ২০০০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এবং ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের শেষ রোববার বিশ্ব হার্ট দিবস হিসেবে পালন করা হতো। পরবর্তীকালে ২০১১ সাল থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটি বিশ্ব হার্ট দিবস হিসেবে পালন শুরু হয়।
চট্টগ্রামে বিশ্ব হার্ট দিবসে বক্তারা
হৃদরোগে প্রতি বছর পৌনে দুই কোটি মানুষের মৃত্যু হয়
