ঘুষ নেওয়া ও ভিক্ষাবৃত্তির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই: দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘যারা মনে করেন ঘুষ নিলে কেউ জানবে না, তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন’ বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ‘ঘুষ নেওয়া ও ভিক্ষাবৃত্তির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুদককে একটি স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। কর্মকর্তাদের প্রতিটি কাজ হতে হবে সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য ও প্রাসঙ্গিক। এর বিচ্যুতি ঘটলে দুদককে যোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা কঠিন হবে।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের আচার-আচরণ এবং কর্ম সম্পাদনে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কোনো বিকল্প নেই। অনুসন্ধান ও তদন্তের তথ্য ব্যবস্থাপনায় এমন কোনো সুযোগ রাখা সমীচীন হবে না, যাতে অপরাধীরা দুদকের নথির গতিবিধি এবং আগাম তথ্য জানতে পারে। তথ্য পাচারের ঘটনা অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসেবে বিবেচিত হয়।’
এ সময় ‘নিজে পরিবর্তন না হলে, কাউকে পরিবর্তন করা যায় না। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই নিজেকে পরিবর্তন করুন। দুদকের প্রতিটি কার্যক্রম টিমওয়ার্কসংশ্লিষ্ট। তাই কর্মকর্তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক আন্তরিক হতে হবে। সবাইকে অফিস ডেকোরাম মানতে হবে। অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষা করা অফিসিয়াল আচরণের অন্যতম ভিত্তি বলেও মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য, অফিস শৃঙ্খলা, অফিসের নিরাপত্তা, কাজের গোপনীয়তা ও অফিসিয়াল আচরণসংক্রান্ত ওই কর্মশালায় উপ-সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালক পদমর্যাদার ৩০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০