নিজস্ব প্রতিবেদক: অবকাঠামো খাতের দুর্বলতা ও প্রদত্ত সনদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অভাবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের উৎপাদিত হালাল পণ্য রফতানিতে পিছিয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসীর।
গতকাল ডিসিসিআই’তে আয়োজিত ‘নিরাপদ ও হালাল খাদ্য নিশ্চিতকরণ: বর্তমান প্রেক্ষিত ও করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোহাম্মদ আল-মুহাইরি গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান ও বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল বিশেষ অতিথি ছিলেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ২০১৭ সালে বিশ্বের মুসলমান দেশগুলো খাদ্য ও পানীয় খাতে প্রায় এক দশমিক তিন ট্রিলিয়ন (লাখ কোটি) ডলার খরচ করেছে। পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো হালাল পণ্য রফতানিতে এগিয়ে রয়েছে। তবে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের হালাল পণ্য রফতানি বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক ভ্যালু চেইন প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মান বজায়ে রাখার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া হালাল পণ্য রফতানি বৃদ্ধিতে বেসরকারি খাতের গবেষণা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যকর বাস্তবায়ন, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হালাল সনদ প্রদানে প্রতিষ্ঠান স্থাপন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং হালাল পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় জমি বরাদ্দ প্রদান প্রভৃতি বিষয়ের ওপর জোর দেন তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোহাম্মদ আল-মুহাইরি বলেন, নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ হওয়ায় নন-মুসলিম দেশগুলোতেও হালাল পণ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।