ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও বিজনেস পেজ থাকুক নিরাপদ

মানুষের তথ্য নিরাপদে রাখা ফেসবুকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। ধোঁকাবাজি চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধ করাসহ অবাধ তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিত করা এর প্রধানতম কাজ। প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ও বিজনেস পেজ নিরাপদ রাখার কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন:

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন

ফেসবুক অ্যাকাউন্টের জন্য একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্ধারণ করুন। পাসওয়ার্ডে আপনার নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল অ্যাড্রেস কিংবা সাধারণ শব্দ যোগ করা থেকে বিরত থাকুন। অন্যান্য অনলাইন সেবায় আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড একবারের বেশি ব্যবহার করা ও অন্য কারও সঙ্গে পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না।

অ্যাকাউন্টটিকে আরও নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে এবং আপনার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সব অ্যাকাউন্টে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালুর বিকল্প নেই। এ বাড়তি নিরাপত্তা স্তরটি একবার সেট করে নিলে অন্য কোনো কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন থেকে অপরিচিত কেউ যদি আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইনের চেষ্টা করে, তাহলে প্রতিবার আপনার কোড বা লগ ইন নিশ্চিত করতে বলবে।

পেজের কার্যক্রম ও নিয়মনীতি পর্যালোচনা

পেজের সব কার্যক্রম ও নিয়মনীতির সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করুন। ধরুন, আপনার পেজের সেটিংসে অ্যাডমিন অ্যাকসেস রয়েছে। পেজে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পর্যালোচনা করুন। আপনার পেজে কোনো বিজনেস ম্যানেজারকে যুক্ত করার সময় নিজের দেওয়া নিয়ম সম্পর্কে তাকে সজাগ করুন। চাইলে পেজে একাধিক অ্যাডমিন রাখতে পারেন।

অপরিচিত কারও ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গ্রহণ করা উচিত নয়

মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাদের কাছ থেকে স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে স্ক্যামার বা সন্দেহজনক ব্যক্তি নকল বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে। তাদের ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গ্রহণ করলে তারা আপনার টাইমলাইনে স্প্যাম পোস্ট করে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে। স্ক্যামার বিদ্বেষপূর্ণ পোস্টে ট্যাগ করতে পারে। মেসেজ পাঠাতে পারে। তাই সতর্কতার সঙ্গে বন্ধু নির্বাচন করুন। পরিচিত ও বিশ্বস্ত মানুষের বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করাই উত্তম।

সন্দেহজনক লিংক ও ক্ষতিকর সফটওয়্যারের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন

অপরিচিত লিংক, বিশেষ করে আপনি যাদের জানেন না বা বিশ্বাস করেন না, তাদের কাছ থেকে আসা লিংকগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা, ফাইল ওপেন করা বা সন্দেহজনক অ্যাপ ইনস্টল করা কিংবা ব্রাউজার এক্সটেনশন করার বিষয়ে কোনো বন্ধু বা পরিচিত সংস্থার কাছ থেকে অনুরোধ এলেও সেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এর মধ্যে ফেসবুক, ব্যক্তিগত মেসেজ ও ই-মেইলে পাঠানো লিংক অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। মনে রাখবেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কখনও কোনো মেইলে আপনার পাসওয়ার্ড জানতে চাইবে না।

আপনার ডিভাইস বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য সন্দেহজনক সফটওয়্যার চিহ্নিত করুন। এসব ম্যালওয়ার থেকে ডিভাইসটিকে রক্ষা করার উপায় সম্পর্কে জানুন।

বিশ্বস্ত কন্ট্রাক্ট সেট করুন

কোনো কারণে অ্যাকাউন্ট ও পেজের অ্যাকসেস হারিয়ে ফেললে আপনার বন্ধুদের ট্রাস্টেড কন্ট্রাক্ট হিসেবে সেট করে রাখতে পারেন। আপনি যেন নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পান, সেজন্য তারা ইউআরএলে একটি রিকোভারি কোড পাঠাতে পারবেন।

সবশেষে, ভিজিট করতে পারেন

facebook.com/hacked পেজটি। পেজ সিকিউরিটি নিশ্চিত করার জন্য ফেসবুকের হেল্প সেন্টার ভিজিট করুন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০