রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল ফের সূচক পতনের পাশাপাশি লেনদেন তলানিতে এসে ঠেকেছে। লেনদেন হয় মাত্র ২৫৭ কোটি টাকা, যা ছিল গত সাড়ে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সূচক অবস্থান করছে চার হাজার ৭৫২ পয়েন্টে। গতকাল ৫০ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। বেড়েছে ৩৮ শতাংশের দর। প্রায় সব খাতেই ছিল বিক্রির চাপ। বিমা ছাড়া বৃহৎ সবগুলো খাতেই ছিল বিক্রির চাপ। লেনদেন ও দরবৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে আসে বিমা খাত।
বিমা খাতে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ বা ৪০ কোটি টাকা। এ খাতে ৭৯ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রায় ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে দরবৃদ্ধিতে পঞ্চম অবস্থানে উঠে আসে। এছাড়া সাত দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে সন্ধানী ইন্স্যুরেন্স দরবৃদ্ধিতে সপ্তম অবস্থানে ছিল। প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ করে। প্রকৌশল খাতে ৭৩ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। ন্যাশনাল টিউবসের সাড়ে ৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দরপতন হয় সাড়ে ছয় টাকা। প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে দেশবন্ধু পলিমার দরবৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৪৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। স্কয়ার ফার্মার সোয়া ছয় কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় এক টাকা। বীকন ফার্মার পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ৭০ পয়সা। সিলকো ফার্মার চার কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ৯০ পয়সা। দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে লিবরা ইনফিউশন ও বীকন ফার্মা। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে ৪০ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রায় ১০ শতাংশ দর বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে আলহাজ্ব টেক্সটাইল। উৎপাদন বন্ধ থাকা একটি কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা দুই কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪৯টি। এর মধ্যে গতকাল ছয় লাখ ১৮ হাজার ৮৮৮টি শেয়ার ৮০৭ বার লেনদেন হয় এক কোটি ৯৮ লাখ টাকায়। উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিটি প্রায়ই দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসছে। কারা এই শেয়ারটি লেনদেন করছে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া এমএল ডায়িং ও প্যারামাউন্ট টেক্স দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে। এসব শেয়ারের দর ছয় থেকে আট শতাংশ বেড়েছে। জ্বালানি খাতে ৪৭ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ইউনাইটেড পাওয়ারের সোয়া পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় ১০ টাকা ৬০ পয়সা। ব্যাংক খাতে ৫৭ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। সিমেন্ট খাতে ৭১ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। কাগজ ও মুদ্রণ এবং সেবা ও আবাসন খাত শতভাগ নেতিবাচক ছিল।