ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচ ফিক্সিং না করলেও সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিব আল হাসানের নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটি সবার মতো মানতে পারছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। শুধু তা-ইÑএ জন্য তিনি দায়ী করেছেন সংস্থাটির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কয়েকটি টুইটে তিনি এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
২০১৮ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু তাতে রাজি হননি এ তারকা। তবে তিনি ভুল করেছিলেন ব্যাপারটি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানিয়ে। যে কারণে গত পরশু এ অলরাউন্ডার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন দু’বছরের। এর মধ্যে এক বছর রয়েছে স্থগিতাদেশ নিষেধাজ্ঞা। আর কোনো ভুল না করলে শাস্তি এক বছর পরই শেষ হবে তার।
গত সপ্তাহে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। মূলত এরপর থেকেই বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তার। শেষ পর্যন্ত সেটারই ফল এ নিষেধাজ্ঞা কি নাÑবুঝতে পারছেন না সাবের। এর আগে গত ২২ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অলরাউন্ডারের ‘ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর আসছে’ বলে পাপন যে উক্তি করেছিলেন, সেটির ভিডিও শেয়ার করে সাবের হোসেন চৌধুরী ‘মিথ্যাবাদী’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন তাকে, ‘আমার মনে হয় বিসিবি সবকিছুই জানত এবং পাপন সাহেব যে বলেছেন, তার কোনো ধারণাই ছিল না, কথাটা সত্য নয়। দুঃখ লাগলেও এটা বলতেই হচ্ছে। ২২ অক্টোবরের যে ভিডিও ক্লিপটা, তাতে মনে হচ্ছিল পাপন সাহেব আইসিসির ঘোষণার জন্য অধৈর্য হয়ে অপেক্ষা করছিলেন।’
বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের আরেক টুইটে লিখেছেন, ‘ভণ্ডামি, সর্বোৎকৃষ্ট/নিকৃষ্টের দ্বৈত চরিত্র। বিসিবি আইসিসির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। ক্রিকেট দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমান আবেগই দেখিয়েছে। কিন্তু সংস্থাগত ম্যাচ ফিক্সিং দুর্নীতির মূলোৎপাটন না করে, ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটাকে আরও উৎসাহিত করছে বিসিবি। লজ্জাজনক।’
নিষিদ্ধ হলেও বিসিবি সব সময় সাকিবের পাশে আছে। গত পরশু সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কিন্তু তার এমন আশ্বাসকে বিশ্বাস করতে পারছেন না সাবের হোসেন চৌধুরী। অন্য টুইটে তিনি লিখেন, ‘কেউ যখন অপরাধ করে, সুবিচার প্রাপ্য। বিসিবি কমপক্ষে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানোর চেষ্টা করতে পারত।’ দুঃখ লাগছে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এ জায়গায় সাকিবের পাশে দাঁড়ায়নি। এখন অযথা মায়াকান্না দেখাচ্ছে।’