বন্ড ছাড়ার অনুমোদন পেল ইউনাইটেড ফাইন্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্থিক খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের ১০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর আগে কোম্পানিটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ড ছেড়ে ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ১০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে। যার মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ চার বছর। প্রতিটি বন্ডের ফেসভ্যালু হবে ২৫ লাখ টাকা। আর লটপ্রতি ফেসভ্যালু হবে দুই কোটি টাকা।

সম্ভাব্য অবকাঠামো ও এসএমই প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য মধ্যবর্তীকালীন অর্থের জোগান দেওয়ার জন্য এ অর্থ ব্যয় করা হবে। আর অনুমোদিত এই বন্ড বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এনওসিপ্রাপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক আইন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় আইন-কানুন মেনে চলাসহ বিএসইসির সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ধারা-২ সিসি’র অধীন আরোপিত শর্তাদিও মেনে চলবে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর এক দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৫ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা। দিনজুড়ে দুই লাখ ৯৭ হাজার ৪৬৪ শেয়ার মোট ১৫০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩২ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করে এক টাকা ৪৮ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৪৪ পয়সা ও ১৬ টাকা ৯৫ পয়সা।

এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে, যা আগের বছরের সমান। কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৮৭ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৭১ লাখ ১৪ হাজার ৬১৫ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৪ দশমিক সাত শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে এক দশমিক সাত শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২৩ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০