ভনিতা না করে বলে রাখা ভালো, ব্যবসার ক্ষেত্রে ‘ধর মুরগি, কর জবাই’ মানসিকতা পরিহার করতে হবে। কেননা, এতে ব্যর্থতার পাল্লা ভারি হতে পারে। এর পরিবর্তে নানা দিক জেনে-শুনে-বুঝে ব্যবসায় নামা উচিত। সমস্যা, এর সমাধান ও সম্ভাবনা বিচার-বিশ্লেষণ করাকে প্রাধান্য দিতে হবে। অর্থাৎ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অ-আ, ক-খ তো জানতে হবেই; উপরন্তু এর দশদিগন্ত নখদর্পণে থাকলে ভালো।
সব ধরনের ব্যবসায় ঝুঁকি রয়েছে। এ ঝুঁকি এড়ানোর জন্য শিল্প-ব্যবসার নীতিমালা সম্পর্কে জানুন। এতে নানা সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে পারবেন। ফলে হঠাৎ ঝুটঝামেলা থেকে ব্যবসাটিকে রক্ষা করতে পারবেন। সংঘত কারণে টেকসইও হবে আপনার ব্যবসা।
সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের সুবিধাসহ প্রণোদনা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও একই পথে হাঁটছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে স্বল্প সুদে এসএমই ঋণ দিয়ে থাকে। খুঁটিনাটি জানা থাকলে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও মেলায় অংশ নিতে পারবেন।
বাংলাদেশের জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬তে শিল্পসেবা ও বাণিজ্য খাতের নানা ব্যবসায়িক উদ্যোগের সংজ্ঞা এবং ঋণসীমা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ শিল্পনীতিতে শিল্প ও সেবা খাতের কুটিরশিল্প, মাইক্রো শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোগের কথা বলা আছে। বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২৫ শতাংশ আসে এ খাত থেকে। মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশ এ খাতে নিয়োজিত।
সুতরাং হুটহাট করে ব্যবসায় নামার আগে সঠিক পরিকল্পনা করুন। জানা ও বোঝার পর তবেই বিনিয়োগ করুন। এতে আখেরে আপনারই লাভ হবে।
এসএমই ডেস্ক
মন্তব্য