‘আমরা চার গোল খাওয়ার মতো দল নই’

ক্রীড়া ডেস্ক : সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান, র‌্যাংকিং, শক্তিমত্তা সবদিক দিয়েই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ওমান। কিন্তু গত পরশু বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে প্রথমার্ধে এ ব্যবধান ঠিক বুঝতে দেয়নি লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তারা লড়াই করে সমানতালে। যে কারণে ড্রয়ের আশা জেগেছিল জামাল ভূঁইয়াদের শিবিরে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ করেই ছন্দ হারিয়ে বসে সফরকারীরা। সে সুযোগে স্বাগতিকরা একে একে চারবার বল জালে জড়িয়ে আনন্দে মাতে। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশ অবশ্য একটি গোল করে ব্যবধান কমিয়েছিল। তাতে বড় হার থেকে রক্ষা পায়নি। ম্যাচ শেষে লাল-সবুজ কোচ জেমি ডে দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ চার গোল খাওয়ার মতো দল নয়।

গত পরশু ওমানের মাঠে প্রথমার্ধ গোলশূন্য ব্যবধানে শেষ হয়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ বাংলাদেশের কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। শেষ পর্যন্ত তাই সফরকারীরা হারে ৪-১ গোলে। এটাই মানতে পারছেন না জেমি, ‘আমার একটা জিনিসের জন্যই খারাপ লাগছে। স্কোরলাইন বলছে আমরা চারটা গোল খেয়েছি, আমরা চার গোল খাওয়ার মতো দল না। আমার মনে হয় না এ ফল আমাদের প্রাপ্য।’

ম্যাচের কিছু সময়ে ওমানকে একটু হলেও ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ। যেটা করা একদমই উচিত হয়নি বলে মনে করেন জেমি ডে, ‘ওমান আমাদের চেয়ে অনেক ভালো দল। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি (ওমানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলার)। কিন্তু অত ভালো দলকে যদি আপনি সুযোগ দেন তারা সেটা কাজে লাগাবেই।’

প্রথমার্ধে ভালো খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে সেটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। যে কারণে ৪৮তম মিনিটে জোহারের গোলে পেছনে পড়ে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। এরপর কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে বাংলাদেশ। ইয়াসিন, রিয়াদুলদের রক্ষণভাগ ছেড়ে ওপরে উঠে আসার সুযোগটাই নিয়েছে স্বাগতিক দল। ৬৮ মিনিটে ২-০ করেছেন আল মান্দার। ডান প্রান্ত থেকে ক্রসে পোস্টের সামনে থেকে পা ছুঁয়ে গোলটি করেন তিনি। ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত হয়ে যায় ৭৮ মিনিটে আল আলাউয়ি দুর্দান্ত গোলে। ৮১ মিনিটে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন বিপলু আহমেদ। তবে উল্টো শেষ বাঁশি বাজার আগে ব্যবধান ৪-১ করেন আল হিদি।

এ হারে ৪ ম্যাচ শেষে ১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই থাকল বাংলাদেশ। ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ওমান।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০