নিজস্ব প্রতিবেদক:‘কোনো মহলের চাপের মুখে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন অকার্যকর করা যাবে না’ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় ‘এ আইন যেন সহনীয় পর্যায়ে কার্যকর করা হয়, তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’- বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় দেশজুড়ে পেঁয়াজ নিয়ে চলা হাহাকারের বিষয়ে এক প্রশ্নে ‘দুই-তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজের চালান আসলে আশা করি এ হাহাকার কমতে শুরু করবে’ বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হলেও সোমবার (১৮ নভেম্বর) থেকে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ আইন কাউকে শাস্তি দিতে নয়, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে ব্যবহার করা হবে। আইন আরও দেরিতে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে চাপ এসেছিল। সেই চাপ বিবেচনা করেই এই ১৫-১৬ দিন বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে আর সময় দেওয়া যাবে না।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়ে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশে বিএনপির দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বে অনেক বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ ব্যক্তি আছেন। আমি অবাক হয়ে যাই, এমওইউ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) ও চুক্তির মধ্যে কী পার্থক্য, এটা তারা বোঝে না। চুক্তি ও এমওইউ এক কথা না, এখানে কোনো চুক্তি হয়নি। এমওইউ হয়েছে চারটি আর তিনটি ওপেন’।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপিকে বলুন, তারা এমওইউ ও চুক্তির মধ্যে পার্থক্যটা কেন বোঝে না? এটা জেনেও কি না জানার ভান করছে? এমওইউকে কেন চুক্তি বলছে, এটা আমার প্রশ্ন। আর এখানে নাথিং সিক্রেট, এভরিথিং ইজ ওপেন সিক্রেট। এমওইউ’তে যা কিছু আছে, কোনোটাতেই সিক্রেসি কিছু নেই। আর এটা কোনো চুক্তি না।’সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে চলমান শুদ্ধি অভিযান নিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুদ্ধি অভিযান যে থামেনি। প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বলে দিয়েছেন, এটা আমার বলা লাগবে না। তিনি বলেছেন, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত শুদ্ধি অভিযান চলতে থাকবে। আর জি কে শামীম আমার এখানে ঢুকতে পারেনি। এ ধরনের কেউ আমার এখানে ঢুকতে পারে না। আমার এখানে যারা কাজ করে, আপনারা ভালো করে জানেন। ঘুষ দেওয়ার কারণে একটা বিদেশি কোম্পানিকে তাদের কার্যাদেশ বাতিল করেছি। আমার সচিবকে চায়ের প্যাকেটে করে ঘুষ দিতে এসেছিল, সেজন্য ওই কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছি। আমাদের এখানে মূলত কাজগুলো করে আর্মি, মোনেম কোম্পানি ও রেজা কনস্ট্রাকশন। কিন্তু কোনো কন্ট্রাক্টর আমার অফিসে কখনও আলাপ করেনি। তারা কোনো আলাপ করলে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে করে।’