ক্রীড়া প্রতিবেদক : বছর দেড়েক আগে শিশু গৃহকর্মীকে মারধর করার অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন রাজীব। যে কারণে জেলেও যেতে হয়েছিল তাকে। শুধু তা-ই নয়, দেশের ঘরোয়া লিগেও এ পেসার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। একটা সময় অবশ্য সবকিছু থেকে মুক্ত হয়ে চেনা পরিবেশে ফেরেন তিনি। কিন্তু আবারও নতুন করে ঝামেলায় জড়ালেন এক সময়ে জাতীয় দলে নিয়মিত ক্রিকেটার। এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন জাতীয় লিগের ম্যাচে মাঠেই সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তুলে। এ অপরাধে আপাতত ম্যাচের শেষ দুদিন বহিষ্কার হয়েছেন তিনি। তবে তার জন্য আরও বড় শাস্তি অপেক্ষা করছে। সেটা হতে পারে অন্তত এক বছরের নিষেধাজ্ঞা।
খুলনায় জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে গত পরশু সতীর্থ ক্রিকেটার আরাফাত সানির (জুনিয়র) গায়ে হাত তুলেছেন শাহাদাত। শুধু একবার, দুবার নয়। চড়-থাপ্পড়ের সঙ্গে নাকি মাঠের মধ্যেই সতীর্থকে লাথিও মারেন তিনি। এর পরপরই এ ঘটনার রিপোর্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে জমা দিয়েছেন ওই ম্যাচের রেফারি আখতার আহমেদ শিপার। সে রিপোর্ট দেখার পর বিসিবি শাস্তির বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
শাহাদাত যে অপরাধ করেছেন তাতে এক বছর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন। এমনটাই সংবাদমাধ্যমে বলেছেন ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ শিপার বলেন, ‘আমি যা লেখা ও বলার, বোর্ডে বলে দিয়েছি। শাহাদাত রাজীব যা ঘটিয়েছে, সেটা নিয়ে আমার মানে ম্যাচ রেফারির শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার নেই। এটা লেভেল ৪-এর আওতায়। এ শাস্তি অনেক কঠিন ও বড়। এটা তেড়ে যাওয়া, বাজে অঙ্গভঙ্গি বা গালি দেওয়ার মতো ছোটখাটো ঘটনা নয়। সরাসরি গায়ে হাত তোলা। এর শাস্তি কঠিন। আইনে ন্যূনতম এক বছর সাসপেন্ড। এখন এটা বিসিবিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাক্ষ্য-প্রমাণ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর বোর্ডই ঠিক করবে, কী শাস্তি দেবে।’
রাজীবের শাস্তির ব্যাপারে ম্যাচ রেফারির কথা সত্যি হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি। তবে এ পেসারের বিরুদ্ধে আগের অভিযোগ থাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আরও বড় কোনো শাস্তি দিতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। যদিও এখনও দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি ব্যাপারটি নিয়ে কিছু বলেনি।