নিজস্ব প্রতিবেদকদ্যুৎ থাকায় সরকার শীতকালে নেপাল-ভুটানে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারবে। তাহলে সুন্দরবনের ক্ষতি করে একটি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ না করলেও বিদ্যুতের সংকট হওয়ার কথা না’ বলে জানিয়েছেন সরকারের সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক।
গতকাল সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘প্রাণ বাঁচালো সুন্দরবন, চাই সুন্দরবনসহ উপকূলের পরিবেশ, কৃষি ও মৎস্য খাতের টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বিএসএএফই, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম ও হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড যৌথভাবে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আনোয়ার ফারুক বলেন, ‘শিল্পমালিকরা ১০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে একটি কারখানা করছেন। কিন্তু দুই কোটি টাকা খরচ করে একটি পরিশোধন যন্ত্র বসাবেন না। তারা কারখানার বর্জ্য হয় নদীতে, না হয় কৃষিজমিতে ছেড়ে দেবেন। ওই মানসিকতা পাল্টাতে হবে। উন্নয়নের দরকার, তবে সবার আগে দরকার পরিবেশ ঠিক রাখা।’
বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘বরগুনার বিষখালী নদী থেকে বালি তুলে আইসোটেক নামের একটি কোম্পানি সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এতে ট্যাংরাগিরি শ্বাসমূলীয় বনের ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। এ বনটি সুন্দরবনেরই সম্প্রসারিত অংশ। সুন্দরবনের চারপাশে একাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্প-কারখানা গড়ে তোলায় গোটা বনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি বাপার সহসভাপতি আবদুল মতিন বলেন, ‘বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেই বলছেন ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্ব জলবায়ুতে বড় পরিবর্তনে ঘটবে। বাংলাদেশের সমুদ্রভাগের উচ্চতা বাড়ায় দেশের এক-তৃতীয়াংশ তলিয়ে যাবে পানির নিচে। ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। এখনও সময় আছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের যথাযথ ভূমিকা নেওয়ার।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ ও হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
