নিজস্ব প্রতিবেদক: নকশা জালিয়াতির মামলায় ডোম-ইনো প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) স্থপতি আবদুস সালামের জামিন মঞ্জুর করেননি হাইকোর্ট। তবে তাকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদালতে আবদুস সালামের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একেএম ফারহান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
জানা গেছে, রাজধানীর বনানী আবাসিক এলাকায় পাঁচ কাঠা জমির মালিক মো. সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর পর ওয়ারিশসূত্রে স্ত্রী বেগম রোকেয়া ইসলাম, ছেলে মো. এনামুল হক ও মো. একরামুল হক এবং মেয়ে আক্তার বানু ও নাহিদ আক্তার ওই প্লটের মালিক হন।
কিন্তু ২০০৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর ডোম-ইনো প্রপার্টিজ লিমিটেডের সঙ্গে ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য এনামুল হকের অনুমতি ছাড়াই চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। পরে ওই জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণে ডোম-ইনোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জমির আরেক অংশীদার এনামুল হক ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত লন্ডনে বসবাস করার সময় ডোম-ইনোর এমডি মো. আবদুস সালাম এনামুল হকের স্বাক্ষর জাল করে রাজউক থেকে ফ্ল্যাট নির্মাণের অনুমোদন করান বলে অভিযোগ ওঠে।
ওই ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলী আকবর প্রাথমিক তদন্ত শেষে পাঁচজনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর বনানী থানায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত চলছে এবং ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এটি বিচারাধীন।
আবদুস সালাম ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑরাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার ও বর্তমানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সামছুর রহমান, রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, প্রধান ইমারত পরিদর্শক মুছলেম উদ্দিন ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী অমিত হাসান।
