ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ইবিআইএন রেজিস্ট্রেশন’ বিষয়ক কর্মশালা গতকাল চেম্বার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন। কর্মশালায় পুরান ঢাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির প্রায় ৫০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনয়নের জন্য অটোমেশনের কোনো বিকল্প নেই, তবে কর প্রদান প্রক্রিয়ায় করদাতাদের হয়রানি না করে কর সংগ্রহ করা ও সব ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন অনুপাতে মূসক নির্ধারণ করে কর রেয়াত ব্যবস্থা সহজ করার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য প্রতি মাসে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক না রেখে, প্রতি তিন মাসে একবার বা প্রতি ছয় মাসে একবার ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা রাখার জন্য এনবিআরকে অনুরোধ জানান।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির জন্য রাজস্ব কাঠামো ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর প্রদান করার প্রবণতা বাড়বে এবং এ লক্ষ্যে অনলাইনভিত্তিক এ ধরনের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ব্যবসাবান্ধব কর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।
ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান নতুন প্রস্তাবিত ১৩ সংখ্যার ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নাম্বার রেজিস্ট্রেশনের (ইবিআইএন) আওতায় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিশেষ করে যারা আমদানি-রপ্তানি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের আগামী ৩০ নভেম্বরের পর এলসি খুলতে নতুনের (ইবিআইএন) আওতায় নিবন্ধন থাকতে হবে, অন্যথায় তার ব্যাংকে এলসি খুলতে পারবেন না। তিনি প্রাস্তবিত ভ্যাট নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ীরা যেন হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি প্রস্তাবিত ১৩ ডিজিটের নিবন্ধন প্রক্রিয়া ইতিপূর্বে বিদ্যমান ৯ অথবা ১১ ডিজিটের ভ্যাট নিবন্ধনের তথ্যাদি সংবলিত করার জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি