নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ এখনও যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য পাচ্ছে না, অথচ উৎপাদিত খাদ্যের ৩০ শতাংশই বিভিন্নভাবে নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট হওয়া খাদ্যের আর্থিক মূল্য বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। ফলে এ অপচয় রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতার পাশাপাশি চালাতে হবে প্রচার-প্রচারণাও। গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বার্ক) ‘খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে খাদ্য অপচয় রোধের গুরুত্ব ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিসেফ ফাউন্ডেশন, বিএআরসি, কৃষি সাংবাদিক ফোরাম ও হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে চার কোটি মানুষ আর পৃথিবীতে ৮২ কোটি মানুষ যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য পাচ্ছে না। অথচ পৃথিবীতে উৎপাদিত খাদ্যের এক-তৃতীয়াংশ অপচয় হয়, যার পরিমাণ ১৩০ কোটি টন। ধানের ক্ষেত্রে উৎপাদন-পরবর্তী ক্ষতি ১০ শতাংশ, গমের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ও শাকসবজির ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৪২ শতাংশ। উৎপাদন স্তরে ইঁদুর প্রতিবছর নষ্ট করে ৭৩২ কোটি টাকার ফসল। দেশে পোকা, রোগ ও আগাছার কারণে নষ্ট হয় ২০ শতাংশ ফসল।
বক্তারা জানান, দেশে প্রায় চার কোটি মানুষ পুষ্টিহীনতার শিকার। প্রায় ৪৪ শতাংশ নারী রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। দেশে প্রতি পাঁচজনে একজন প্রায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রাম, চরাঞ্চল, দলিত, আদিবাসী ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ শহরের নি¤œ আয়ের মানুষের পুষ্টিহীনতা বেশি।
সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রউফ, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবির, বিসেফ ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি সৈয়দ মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।