নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন করে ১০ হাজার হজযাত্রীর কোটা পেল বাংলাদেশ। ফলে আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ব্যক্তি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাবেন। গতকাল এ অনুমোদন দিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
সৌদি আরবের মক্কায় এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব শেখ নাজমুল হক সৈকত কোটা বাড়ানোর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বর্তমানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল সৌদি আরব সফর করছে। গত সোমবার রাতে তারা সৌদি আরবে পৌঁছান বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ দলে রয়েছেনÑধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বর্তমান মুসলিম জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার। ওআইসির নিয়মানুসারে জনসংখ্যার অনুপাতে প্রতি বছর দেশগুলো থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এবার এক লাখ ৪৮ হাজার জনের কোটা চাওয়া হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ২৭ হাজার। তবে ১০ হাজার বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী বছর এক লাখ ৩৭ হাজার জন হজ করার সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে যেখানে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮ জন। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জনে বৃদ্ধি পায়।