লভ্যাংশ পাঠিয়েছে দি পেনিনসুলা চিটাগং

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টসে পাঠিয়েছে দি পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড। আর যাদের ব্যাংক হিসাবে যায়নি, তাদের কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ক্যাশ ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট পঠানো হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত অর্ধবার্ষিকের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবদেন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে সাত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দেয়। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬৯ পয়সা।

একইসঙ্গে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৭ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ৪১ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২৪ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৮০ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩১ টাকা ৬৩ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩১ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল তিন পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২০ টাকা ১০ পয়সা। দিনভর কোম্পানিটির দুই লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৪টি শেয়ার মোট ২৯৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ওই দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৩১ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ৬২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি হয় ৩০ টাকা ৮১ পয়সা। ওই সময় মুনাফা করেছে সাত কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজার দরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ২০ দশমিক ১০ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৯ দশমিক ৫৬। কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫১ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৫ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক সাত দশমিক ৮০ শতাংশ, বিদেশি বিনোয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৭ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০