নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার ও রপ্তানি বাজার। এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) প্রকল্পের আওতায় ইইউ’র দেওয়া বাণিজ্য সুবিধায় বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে। এ জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। গত অর্থবছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোয় বাংলাদেশ ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৫৮ শতাংশ।
গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগের ষষ্ঠ রাউন্ডের সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধানের বত্তৃদ্ধতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর তিন বছর পর বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধাগুলো আর পাবে না। এ সময় বাংলাদেশ আশা করে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করবে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করতে সবকিছু করে যাচ্ছে এবং বাণিজ্য সহজীকরণ বিশ্ব র্যাংকিংয়ে আট ধাপ এগিয়ে এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য করতে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিত করে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই এ ডায়ালগের উদ্দেশ্য। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। নিয়মিতভাবেই এ সভা করা হয়। ইতোমধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এতে করে উভয় পক্ষই উপকৃত হয়েছে।
তিনি জানান, পাঁচটি সেক্টরে কাজ করার জন্য পাঁচটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এগুলো হলোÑকাস্টমস, ফার্মাসিউটিক্যালস, ট্যাক্স, ফাইন্যান্সিয়াল ফ্লোস ও বিনিয়োগ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ বাণিজ্য পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য উভয় পক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংরাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাংলাদেশের পক্ষে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনসহ ২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেয়। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনেসি তেরিংকসহ জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ইতালির রাষ্ট্রদূতসহ ৪১ জন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।