ক্রীড়া ডেস্ক: ২০১৪ সালে সোচিতে হওয়া শীতকালীন অলিম্পিকের পরই ডোপ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে রাশিয়ার বিপক্ষে। এরপর থেকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ইভেন্টে এক রকম নিষিদ্ধই ছিল দেশটি। তারপরও দক্ষিণ কোরিয়ার পাইওংচাংয়ে ২০১৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে ১৬৮ জন রুশ অ্যাথলেট নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক ও ২০২২ সালে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না দেশটি। গতকাল সব ধরনের বৈশ্বিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে আগামী চার বছরের জন্য রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ডব্লিউএডিএ)। গতকাল সংস্থাটির কার্যনির্বাহী সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মস্কোর বিরুদ্ধে মিথ্যা উপাত্ত দিয়ে গবেষণাগারের তথ্যে গড়মিল করার প্রমাণ মেলার পর রাশিয়াকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ডব্লিউএডিএ। রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়া অ্যাথলেটদের তথ্য মুছে দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। তবে ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িত নন রাশিয়ার এমন অ্যাথলেটরা যদি নিজেদের প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে ২০২২ অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকের আগে মস্কোর পরীক্ষাগারেই রাশিয়ার অ্যাথলেটদের ডোপিংয়ের প্রমাণ মেলে। এরপর তাদের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আবেদন করার জন্য রাশিয়া ২১ দিন সময় পাবে। যদি তারা আবেদন করে, তাহলে আবেদনটি পাঠানো হবে ক্রীড়ার সর্বোচ্চ আদালত। এমনটিই জানিয়েছে ‘কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে (সিএএস)’। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০২০ সালের ইউরো ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে রাশিয়া।