নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিসেম্বর মাসেই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে দেশটির সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল বাংলাদেশের। সেই বৈঠকটি আপাতত হচ্ছে না। ফলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উš§ুক্ত হওয়ার অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন উপলক্ষে গতকাল মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। এবারের অভিবাসী দিবসের সেøাগান হচ্ছে ‘সামাজিক মেলবন্ধনের জন্য অভিবাসন’।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও জানি না মালয়েশিয়ার বাজার কবে উš§ুক্ত হবে। তবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। শিগগিরই মালয়েশিয়ার বাজার খুলবে। আমরা বারবার দক্ষ শ্রমিকের কথা বলছি। অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। দেশে এখনও ৪০ শতাংশ অদক্ষ শ্রমিক রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতি উপজেলায় প্রশিক্ষণ সেন্টার করার একটি উদ্দেশ্য আছে। অনেক উপজেলা থেকে বিদেশে যাওয়ার মানুষের হার খুবই কম। আমরা চাই বিদেশে যাওয়ার সুযোগ থাকলে সারা দেশে সবার জন্য থাকা উচিত। এজন্য সরকারের ইশতেহার অনুযায়ী দেশের প্রতি উপজেলা থেকে এক হাজার দক্ষ কর্মীকে বিদেশ পাঠানো হবে।
সৌদি থেকে ফেরত আসা কর্মীদের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক মাসে আমাদের অনেক নারী শ্রমিক ফেরত এসেছেন। লাঞ্ছনা, হয়রানিসহ সবকিছু মিলিয়ে গত ১০ বছরে ৯ হাজার নারী কর্মী ফেরত এসেছেন। যেসব দেশ থেকে নারী কর্মীরা ফেরত এসেছেন, সেসব দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, গৃহকর্মীদের নির্যাতন ঠেকাতে সৌদি সরকার অভিযোগ সেল খুলেছে এবং সেখানে বলা আছে, অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেবে। নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করার জন্য মামলাকারীর সশরীরে উপস্থিত থাকার শর্ত ছিল। ফলে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অনেকেই মামলা করতে আগ্রহী হতেন না।
সে অবস্থার পরিবর্তনে দূতাবাসের কর্মীদের মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগে লাঞ্ছিত বা হয়রানি হওয়ার পর অভিযোগকারী না থাকলে সে মামলা চলত না। এখন ব্যবস্থা করা হয়েছে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির, যাতে যার অভিযোগ তিনি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দূতাবাসকে দিতে পারেন।