দক্ষ সাইবার নিরাপত্তাকর্মী খুঁজে বের করতে অ্যাট বাংলাদেশ-এর আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মতো চলছে ‘ক্যাসপারস্কি সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ, ২০১৯’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা। এবারের আয়োজনে প্রধান বিষয় ওয়েব ভালনারেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট। ক্যাসপারস্কি বাগ বাউন্টিং প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে পুরস্কার অর্জনের সুযোগ পাবেন প্রতিযোগীরা।
‘বি দ্য আলটিমেট সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট’ সেøাগানে প্রতিযোগিতার টাইটেল স্পন্সর ক্যাসপারস্কি। পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর ওয়ালটন কম্পিউটার। এছাড়া কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট, ইভ্যালি, আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেড ও এসসিএসএল। স্ট্র্যাটেজি পার্টনার বেসিস, আইএসপিএবি ও বাক্য। প্রতিযোগিতার নানা পর্ব ও গ্রুমিং সেশন লাইভ সম্প্রচার করবে ঢাকালাইভ।
প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক আবদুর রহমান শাওন জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সর্বোচ্চ তিনজনের দল গঠন করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সিকিউরিটির ওপর সচেতনতামূলক কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করা হবে। নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনলাইনভিত্তিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ দলগুলো ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।
ক্যাসপারস্কি সাউথ এশিয়ার রিটেইল সেলস ম্যানেজার শিবসঙ্কর খাড়াদে বলেন, ক্যাসপারস্কি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে কাজ করা শুরু করেছি, যাতে মানুষ নিশ্চিন্তে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। এ ধরনের প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে দক্ষ সাইবার নিরাপত্তাকর্মীও বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদী।
ওয়ালটন কম্পিউটারের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মেহেদি হাসান বলেন, এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে। আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আতিকুর রহমানও একই ধারণা পোষণ করেন।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দলের সবার জন্য ল্যাপটপ, প্রথম রানার্স-আপ দলের জন্য স্মার্টফোন ও দ্বিতীয় রানার্স-আপ দলের জন্য পুরস্কার হিসেবে ট্যাবলেট পিসি দেওয়া হবে। পাশাপাশি থাকবে ক্রেস্ট ও সনদপত্র। বিজয়ী নারী দলের জন্য থাকছে বিশেষ সম্মাননা। এছাড়া বিজয়ী দলগুলোর সদস্যরা দেশের শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করার সুযোগ পাবেন। দেশের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন।
