নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, দেশের বিপুল যুবশক্তি, প্রশিক্ষিত জনবল, অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। শিল্প খাতে বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব কাজে লাগাতে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।
বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর বিসিআইসি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি ছিলেন। অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম ও বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. হাইয়ুল কাইয়ুম বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা, কর্মনিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও সাহসী নেতৃত্ব এর পেছনে জাদু হিসেবে কাজ করছে। এর অনুকরণে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সর্বোচ্চ সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে কাজ করতে হবে। শিল্পসহায়ক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রেখে তিনি বিজয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সংস্থাগুলোয় কর্মরত সবাইকে কর্তব্যকর্মে উৎসর্গ করতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। তিনি বন্ধ কারখানাগুলো চালুর মাধ্যমে শিল্প খাতের উন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরামর্শ দেন। দলাদলি করে প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের অপচেষ্টা করলে আগামী প্রজš§ দায়ীদের কোনোভাবেই ক্ষমা করবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জš§ না হলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বিজয় দিবস উদ্যাপন করা সম্ভব হতো না। তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাগুলোর বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের তাগিদ দেন। একই সঙ্গে তিনি ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বিসিক শিল্পনগরীতে কারখানা স্থাপনে সহায়তা দান, পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন এবং ভেজাল ও নকল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশনা দেন।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্প সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি কথায় নয়, কাজে শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। এ লক্ষ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আচরণ ও সেবাদান প্রক্রিয়ায় গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ বলতে শিল্পোন্নত দেশকে বোঝায় উল্লেখ করে তিনি ২০৪১ সাল নাগাদ শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিচ্যুতির কারণে রাষ্ট্রের ক্ষতি হলে তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় কঠোর ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।