বায়ুদূষণ থেকে রক্ষায় এয়ার পিউরিফাইয়ার

২৪ নভেম্বর, ২০১৯। এদিন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল আমাদের রাজধানী। সাধারণত সাফল্য কিংবা বেদনার সংবাদই পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের শিরোনাম হয়ে থাকে। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ঢাকা এদিন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিল দুঃখজনক সংবাদের ওপর ভিত্তি করে। বৈশ্বিকভাবে বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের তথ্য অনুযায়ী, সেদিন ঢাকা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২৪ নভেম্বর ২০১৯ সকাল ৭টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় ঢাকাই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর। এরপর কয়েক ঘণ্টার জন্য মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোর ও ভারতের কলকাতা শহর দূষণের দিক থেকে ঢাকাকে ছাড়িয়ে যায়। তবে রাত সাড়ে ৮টার পর ঢাকা আবার শীর্ষে চলে আসে।

পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি বায়ুদূষণ। অভ্যন্তরীণ ও বহিরঙ্গণের বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় সাত মিলিয়ন মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করে। বাতাসে ভারী ধাতু ও সূক্ষ্ম বস্তুকণা বেড়ে গেলে ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট ও স্নায়ুজনিত সমস্যা বেড়ে যায়। কমে যায় বুদ্ধিমত্তা।

আমাদের অনেকে মনে করেন, ঘরের ভেতরের বাতাসের চেয়ে বাইরের বাতাস বেশি বিষাক্তÑআসলে কি তা-ই? গবেষকরা বলছেন, আসল চিত্র তেমন নয়। তাদের গবেষণা বলছে, অভ্যন্তরীণ কক্ষ অর্থাৎ সাধারণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষের বায়ুদূষণের পরিমাণ বহিরঙ্গণের বায়ুদূষণের চেয়ে দুই থেকে পাঁচগুণ বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উম্মুক্ত স্থানের বাতাসের চেয়ে তা ১০০ গুণ বেশি হয়ে থাকে।

ঘরদোর পরিষ্কার, নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনার ধুলিকণা, রান্নার কাজে ব্যবহৃত জ্বালানি, প্রযুক্তি, তাপ উৎপাদনকারী নানা সামগ্রী ও আলোর নানা ধরনের উৎস অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।

দেশে শীতের আমেজ বইছে। শীতের কবল থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এ সময় স্বাভাবিকভাবেই আমরা ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখি। এ কারণে ঠাণ্ডা বাতাস আমাদের ঘরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে না, যা অভ্যন্তরীণ বাতাসের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অভ্যন্তরীণ দূষিত বায়ু ঘর থেকে বের হতে না পারলে তা আরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও ধূলিকণা সহজে যে কাউকে আক্রান্ত করতে পারে, যদি না তাদের রোগপ্রতিরোধ-ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।

ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুখ থেকে বাঁচতে ঘরে লাগানো যেতে পারে এয়ার পিউরিফাইয়ার। বাজারে অনেক রকমের এয়ার পিউরিফাইয়ার রয়েছে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন ভালো মানের পিউরিফাইয়ার। অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণ হ্রাস ও সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে স্যামসাংয়ের তিন মডেলের এয়ার পিউরিফাইয়ার দারুণ সমাধান হতে পারে। বায়ুতে ভেসে বেড়ানো অ্যালার্জির জীবাণু দূর করে স্বস্তিদায়ক বিশুদ্ধ বাতাস নিশ্চিত করে এসব পিউরিফাইয়ার। পাঁচ মাত্রার পরিশোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালার্জেন, ছোটবড় ধূলিকণা, ক্ষতিকর গ্যাস ও জীবাণু শোধনের ক্ষমতা রয়েছে এগুলোর।

বহিরঙ্গণের বায়ুদূষণ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা প্রায় অসম্ভব। তবে আমরা চাইলেই অভ্যন্তরীণ দূষণের ঝুঁকি কমাতে পারি। যেহেতু আমরা দিন ও রাতের বড় একটি সময় ঘরের ভেতরে থাকি, সেক্ষেত্রে নিজেকে ও পরিবারের সুস্থতায় অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের ঝুঁকি যতটা সম্ভব কমানো উচিত। এজন্য সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়াটা জরুরি। একটি সঠিক পদক্ষেপ নানা ধরনের রোগ থেকে নিজেদের রক্ষার মাধ্যমে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে সাহায্য করবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০