নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উত্তরা ফাইন্যান্স প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এ বন্ড ইস্যু করে ৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। ব্যবসার সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্য আনতে এ অর্থ ব্যয় হবে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ২৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকা, যা আগের বছর একই সময় যথাক্রমে সাত টাকা ২৫ পয়সা ও ৪৯ টাকা ৭৪ পয়সা ছিল।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর দুই দশমিক ৯৭ শতাংশ বা এক টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৫ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৪ টাকা ১০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ছয় হাজার ১৩টি শেয়ার মোট ৫১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন লাখ ২৬ হাজার টাকা। ওইদিন দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৫৩ টাকা থেকে ৭৪ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ২৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৭৪ পয়সা। তার আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি ইপিএস ছিল ছয় টাকা ৬২ পয়সা ও এনএভি ৪৫ টাকা ৪৯ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫১০ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১২ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার ৪৮০টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োকারীদের তিন দশমিক ৯১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার।