ঢাকা সিটি নির্বাচনে বিতর্কিত প্রার্থীকে মনোনয়ন নয়: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে কোনো বিতর্কিত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বিভিন্ন সংস্থা ও তার নিজস্ব টিম দিয়ে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জরিপ করেছেন। দুই সিটিতে মেয়র পদে বিজয়ী হতে পারে ও জনপ্রিয় এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

গতকাল পিপিপির আওতায় ভোগরা-জয়দেবপুর-মদনপুর (ঢাকা-বাইপাস) সড়ককে ছয় লেনবিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীতকরণ প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জাওয়েদ আলম, এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক সবুজ উদ্দিন খান, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ ই লি জিমিংসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করতে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। সরকার ও সরকারি দল সিটি নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।

মন্ত্রী বলেন, চীনের বেসরকারি কোম্পানি সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ করপোরেশন লিমিটেড, শামীম এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড ও ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড যৌথভাবে ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তি স্বাক্ষর করে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজের জন্য। প্রায় চার হাজার কোটি টাকা এ প্রকল্পের নির্মাণকাজের ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ২২৩ কোটি টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দেবে। বাকি টাকা পিপিপির আওতায় চুক্তিবদ্ধ বিদেশি দুটি কোম্পানি বহন করবে।

জমি অধিগ্রহণ ও সার্ভিস চার্জ হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। বাকি তিন হাজার ২৭৬ কোটি টাকা বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবেন। ২০২২ সালের মধ্যে ঢাকা-বাইপাস সড়কের ছয় লেনবিশিষ্ট এক্সপ্রেস সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়, অর্থাৎ আগামী তিন বছরে শেষ হবে। মাঝে প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ কিছুটা মন্থরগতিতে চলেছিল। অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি এরই মধ্যে সমাধান হয়েছে, যে কারণে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হবে।

সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। এজন্য সবাইকে সড়কে চলাচলের জন্য ট্রাফিক আইন মেনে চলা ও মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের হেলমেট ব্যবহারের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, উঠতি বয়সের তরুণরা ও নেতারা ঢাকাসহ সারা দেশে ট্রাফিক আইন মেনে চলে না। মহাসড়কগুলোতে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় নছিমন, করিমন, ভটভটি ও থ্রিহুইলার চলাচল করছে। তাদের ভোটের জন্য এই পরিবহনগুলো ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই পরিবহনগুলো সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত দিনে সড়ক দুর্ঘটনার হার কমলেও ট্রাফিক আইন মেনে না চলার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০