দিনাজপুরে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রতিনিধি, দিনাজপুর: জেলায় গত এক সপ্তাহ পর্যন্ত সূর্যের আলো দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশায় আকাশ ঢেকে আছে। হিমালয়ের ঠাণ্ডা বাতাশ শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এদিকে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর বা বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলটি কৃষিপ্রধান এলাকা এবং দেশের খাদ্য ভাণ্ডারের অনেকাংশ এখান থেকেই সরবরাহ হয়ে থাকে। কিন্তু খাদ্য উৎপাদনকারীরাই আমন ধানের দাম না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। আমন ধান উৎপাদন করে তাদের খরচ ঘরে উঠছে না।

পল্লি চিকিৎসক ওয়াজেদুর রহমান বাবলু বলেন, কৃষকরা যখন আসন্ন ইরি-বোরো ধান উৎপাদন নিয়ে ভাবছেন, সেই সময় শীতের কবলে পড়েছে অঞ্চলটি। কৃষক এখন শীতের পোশাক জোগাড় করবেন, নাকি ইরি-বোরো ধান উৎপাদন করবেন।

গ্রামের সাধারণ মানুষ বলছেন, আমন ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকের হাতে টাকা নেই। অন্যদিকে শীতের কারণে মানুষ বিশেষ কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে কৃষকের সঙ্গে বিপাকে পড়েছেন নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। দিনমজুর ও শ্রমিকের কাজ নেই। তাদের পরিবারের খরচ জুটছে না। এছাড়া শীতের গরম পোশাকের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই শীত নিবারণ করতে পারছেন না। এ কারণে খড়-খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন গ্রামের অধিকাংশ মানুষ।

সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় শীতবস্ত্র বিবারণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারে নগণ্য। ফলে অধিকাংশ মানুষের হাতে পড়েনি শীতবস্ত্র।

উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, এই পর্যন্ত কয়েক হাজার শীতবস্ত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় অনেক কম হওয়ায় সবার মাঝে তা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

তেল গ্যাস খনিজসম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, এ অঞ্চলটিকে খাদ্য ভাণ্ডারের পাশাপাশি শীতপ্রধান অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে শীতের বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে এই অঞ্চলের মানুষ শীতের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে, খাদ্য উৎপাদনে আরও একধাপ এগিয়ে আসবে; যা আগামী দিনে খাদ্য জোগানে একটি বড় ভূমিকা রাখবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০