সাপ্তাহিক বাজার

আনলিমা ইয়ার্ন ডায়িংয়ের দর বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বস্ত্র খাতের কোম্পানি আনলিমা ইয়ার্ন ডায়িং লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ১১ লাখ ২২ হাজার ৭৫০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ ১২ কোটি ৪৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বা তিন টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৩ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৩ টাকা। দিনজুড়ে ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬১টি শেয়ার এক হাজার ৭৬৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর পাঁচ কোটি ৩৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪০ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৩ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৪৬ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

এদিকে কোম্পানিটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই ‘এ’ ক্যাটেগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে কোম্পানিটির অবনমন হয়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরির অধীনে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা নিয়ম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটেগরিতে ওই সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জানানো হয়েছে। ক্যাটেগরি পরিবর্তনের প্রথম ৩০ দিন এই ঋণ দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী ৩০ দিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা পাঁচ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৪ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল তিন পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ ইপিএস ১২ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১১ টাকা ১৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১১ টাকা পাঁচ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে সাত পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

কোম্পানির মোট এক কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৭ দশমিক ২২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক পাঁচ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং বাকি ৪৭ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৭০ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৭৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ৪২ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০