নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন কমলেও উভয় বাজারে সূচকের ইতিবাচক গতি দেখা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ৪৬ শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রধান সূচক ১৫ পয়েন্ট ইতিবাচক ছিল। দর কমেছে ৩৫ শতাংশের। লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ার কেনার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত সূচক ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। বেশ কিছু সময় স্থিতিশীল অবস্থানে থেকে সাড়ে ১২টার পর কিছুটা নেমে যায়। এরপর সামান্য ব্যবধানে ওঠানামা করতে করতে শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক অবস্থানে থেকে লেনদেন শেষ হয়। বাকি দুই সূচকও ইতিবাচক ছিল। লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় সামান্য কমেছে। চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৪৩৩ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করে।
ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক দুই দশমিক ১৮ পয়েন্ট বা দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ৯৯৭ দশমিক শূন্য আট পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক তিন দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৫১২ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ৩৯৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৩৮ হাজার ৮৯০ কোটি ২২ লাখ ৫২ হাজার টাকায়। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩০০ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩০৫ কোটি ছয় লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে চার কোটি ২৯ লাখ টাকা। এদিন ১১ কোটি ২৬ লাখ ৭১ হাজার ২৩৩ শেয়ার ৯৪ হাজার ৩৮৭ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৫৩ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৩টির, কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৫টির দর।
অন্যদিকে সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ১২ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে আট হাজার ১৭৬ দশমিক ৭১ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২ দশমিক শূন্য দুই পয়েন্ট বা দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে ১৩ হাজার ৪৮৬ দশমিক ৪১ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সর্বমোট ২৩২ কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ৮৫টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩৯টির দর।
সিএসইতে এদিন ২০ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৪৬২ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ তিন হাজার ৬৯৭ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির আট কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা বেক্সিমকোর এক কোটি ১৯ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিসের ৯১ লাখ ৯০ হাজার, স্কয়ার ফার্মার সাড়ে ৮১ লাখ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিউইয়ার্ডের ৫৩ লাখ, এসএস স্টিলের ৩৮ লাখ, আনলিমা ইয়ার্নের ৩৫ লাখ, খুলনা পাওয়ারের ২১ লাখ ও আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।