নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মতিঝিলে বিসিক ভবনে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উদ্যোগে গতকাল শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী হেমন্ত মেলা ১৪২৬ ও কারুশিল্প প্রদর্শনী। সকালে বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশ্তাক হাসান মেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিকের পরিচালক (নকশা ও বিপণন) মাহবুবুর রহমান। এতে স্বাগত ভাষণ দেন প্রধান নকশাবিদ রাহাত উদ্দিন।
আয়োজকরা জানান, মেলায় বিভিন্ন ধরনের পোশাক, নকশিকাঁথা, তাঁতের শাড়ি, জামদানি শাড়ি, পাটজাত হস্তশিল্প, আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত মধু, খাদ্যজাত সামগ্রীসহ হস্ত ও কুটির শিল্পজাত পণ্যের সমারোহ রয়েছে। মেলা উপলক্ষে জয়নুল আবেদিন প্রদর্শন কক্ষে কারুশিল্পীদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী নিয়ে চলছে কারুশিল্প প্রদর্শনী। মেলায় বিভিন্ন ধরনের হস্ত ও কুটিরশিল্প পণ্যের ৫৩টি স্টল স্থান পেয়েছে। মেলা চলবে আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, কুটির ও হস্তশিল্প খাতের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য মেলায় ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী আকর্ষণীয় নতুন নতুন ডিজাইনের গুণগত ও মানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিসিক থেকে কারুশিল্পীদের সম্ভাব্য সব ধরনের সেবা-সহায়তা দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ক্রেতাসাধারণের কাছে পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে কারুশিল্পরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন।
উল্লেখ্য, বিসিক দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প খাতের উন্নয়নে দীর্ঘদিন উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরনের সেবা-সহায়তা করে আসছে। এ খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটিয়ে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই বিসিকের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে বিসিক কর্তৃক অন্যান্য কাজের পাশাপাশি নকশা কেন্দ্রের মাধ্যমে ব্লক, বাটিক প্রিন্টিং, পুতুল তৈরি, স্ক্রিন প্রিন্টিং, মৃৎশিল্পসহ ১৩টি ট্রেডে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বিসিকের নকশা কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর সঙ্গে পরিচিতি ও বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের সহায়তার উদ্দেশ্য সামনে রেখে এ মেলার আয়োজন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উম্মুক্ত।