প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে

গত ৪ ডিসেম্বর দৈনিক শেয়ার বিজে ‘নিলামে উঠছে ইউনাইটেড এয়ারের উড়োজাহাজ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনটিতে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার উত্তরা শাখা থেকে কোম্পানির ঋণ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তারা ঋণ নিয়েছিল স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গুলশান শাখা থেকে। এই শাখা থেকে কোম্পানিটি ২০০৭ সালে ৫৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল। এ পর্যন্ত যার ৫৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে। ওই শাখায় তাদের দাবি করা টাকা মূলত সুদেরই অংশ। এই শাখায় প্রতিষ্ঠানটির ৬ কোটি টাকা এফডিআর রয়েছে। ফলে বিষয়টি এখন অমীমাংসিত অবস্থায়। প্রতিবেদনে তিনটি বিমান নিলামের বিষয়টি ভুলবশত উল্লেখ করা  হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে এসবিআইর কাছে হাইপোথেটিকেটেড একটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ ও দুটি মিনিবাস নিলামের বিষয়টি কোম্পানির আইনজীবীরা করণীয় বিষয় নির্ধারণ করেছেন।

এছাড়া প্রতিবেদনের একটি অংশে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ১১টি উড়োজাহাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তা হবে ১০টি। এর মধ্যে আটটি ঢাকায় রয়েছে। একটি পাকিস্তানে সি চেক করা হচ্ছে। অন্য একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন পরিবর্তন হচ্ছে ভারতে। সেগুলো অচিরেই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। অন্যদিকে কক্সবাজারে দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটির ব্যাপারে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে সব ধরনের দায়দেনার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এখন এর দায়দায়িত্ব ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির।

আইপিওতে যাওয়ার সময় তাদের পরিচালক ছিল ১৮ জন, যা ভুলবশত ৩১ জন উল্লেখ করা হযেছে। এই ১৮ জনের মধ্য থেকে ২ শতাংশ শেয়ার না থাকায় পরে অধিকাংশ পরিচালক পদ ছেড়ে চলে যান। তাদের শেয়ারের পরিমাণ ৫ শতাংশের বেশি হয়নি। অন্যদিকে সম্প্রতি বিএসইসি কোম্পানিটিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে। প্রতিবেদনে যেটা প্লেসমেন্ট উল্লেখ ছিল। এছাড়া সিভিল এভিয়েশনের দাবি করা টাকার মূল পাওনা ৫৪ কোটি এবং অবশিষ্ট টাকা সারচার্জ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন। কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত মোট ৬২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ কারণে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যায়নি। কোম্পানির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে প্রতিবেদনে এমন উল্লেখ থাকলেও উড্ডয়ন পরিচালনার জন্য এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) আবশ্যক হয় এবং তা নবায়নযোগ্য।

অন্যদিকে বিভিন্ন টেকনিক্যাল কারণে কোম্পানির বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। খুব শিগগির এগুলো চালু হবে। এজন্য ১৩ নভেম্বর সিভিল এভিয়েশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিমান চলাচল শুরু হলে কোম্পানিটি আবার ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।

তাই ইউনাইটেড এয়ারের সব শেয়ারহোল্ডার ও শুভনুধ্যায়ীদের জানানো যাচ্ছে যে, ভুলবশত প্রকাশিত তথ্যগুলোতে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। শেয়ার বিজের মতো সর্বজনপাঠ্য পত্রিকায় অনিচ্ছাকৃত এ ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এভিয়েশন খাতের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র এ প্রতিষ্ঠানটিকে হেয়প্রতিপন্ন করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তাই প্রতিবেদন পড়ে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা মিটিয়ে ফেলার অনুরোধ করছি।

 

 

 

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০