ক্রিকেট কূটনীতিতে হারেনি বাংলাদেশ!

ক্রীড়া প্রতিবেদক: নিরাপত্তা শঙ্কায় সপ্তাহ খানেক আগেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর ছিল অনিশ্চিত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তরফ থেকে বারবারই বলা হচ্ছিল বাংলাদেশ যদি যায়ও টেস্ট খেলবে না; শুধুই টি-টোয়েন্টি খেলে ফিরবে। শুধু তা-ই নয়, কোনোভাবেই সেখানে এক সপ্তাহের বেশি অবস্থান করবে না ক্রিকেটাররা। কিন্তু গত পরশু আইসিসির সভা শেষে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ওয়েবসাইট প্রকাশ করে সম্পূর্ণ উল্টো খবর, টি-টোয়েন্টির সঙ্গে টাইগাররা টেস্ট ম্যাচও খেলতে সম্মতি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ করা হয়েছে এফটিপির বাইরে থাকা একটি ওয়ানডে ম্যাচও। মূলত এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, ক্রিকেট কূটনীতিতে পাকিস্তানের কাছে কি বাংলাদেশ হেরে গেল? যদিও এ ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

বাংলাদেশ কোনোভাবেই ক্রিকেট কূটনীতির কাছে হেরে যায়নি বলে মনে করেন পাপন। গতকাল আইসিসির সভা শেষে দেশে ফিরে দৃঢ় কণ্ঠেই এমনটাই জানিয়েছেন তিনি, ‘ক্রিকেট কূটনীতিতে হার! এটা কেন বলছে, কোনো কারণই আমি খুঁজে পাচ্ছি না। আমি জানি না। আমার কাছে অদ্ভুত লাগছে। আমরা প্রথম থেকে যেটা বলেছি, সেটাই হয়েছে। আমার কাছে তেমনই মনে হচ্ছে।’

এর আগে গত রোববার বিসিবির বোর্ড সভা শেষে পাপন জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান সফরে টেস্ট খেলার অনুমতি দেয়নি সরকার। ফলে স্বাগতিক দেশটিতে আপাতত তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে ইচ্ছুক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। আর এফটিপিতে যেহেতু ওয়ানডে ছিল না সেহেতু এ সংক্রান্ত প্রশ্নই ছিল অবান্তর। কিন্তু গত পরশু দুবাইয়ে আইসিসি সভায় পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানির সঙ্গে বিসিবি সভাপতি পাপনের সাইডলাইন আলোচনা শেষে খবর প্রকাশ হয়, টেস্ট, টি-টোয়েন্টি তো বটেই, দেশটি সফরে এফটিপির বাইরে থাকা এক ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডেও খেলবে বাংলাদেশ।

এখন পর্যন্ত একটি সিরিজ খেলতে কোনো দেশই বিদেশ সফরে দুবারের বেশি যায়নি। কিন্তু এবার পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ যাবে তিন ধাপে। প্রথমে শুধু তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। এরপর একটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলতে যাবে টিম টাইগার্স। শেষ ধাপে বাংলাদেশ দল খেলবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি। যে কারণে এদেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকে নাজমুল হাসানের পাপনের ক্রিকেট কূটনীতির পরাজয় বলেই দেখছেন। তাদের মতে আলোচনার টেবিলে দেশের স্বার্থ সঠিকভাবে তুলে ধরতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু পাপন বলছেন, ‘সরকার থেকে যেই বিষয়টা বলা আছে, আমরা যে রকম আগে থেকে বলেছি, ওই রকমই হয়েছে। এখানটায় লিখেছে যে প্রথমে টি-টোয়েন্টি খেলে আসবে। তারপরে অবস্থা বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে গিয়ে টেস্টগুলো খেলে আসবে। আমরা এখনও সেই ধারাতেই আছি। পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলার আগে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ দরকার। আমাদের কাছে মনে হয়েছে টি-টোয়েন্টির চেয়ে ওয়ানডে হলে হয়তো অনুশীলনটা ভালো হবে।’

আগামী ২৪ জানুয়ারি তিন ম্যাচের প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে পাকিস্তান সফর শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ যথাক্রমে ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি। ম্যাচগুলো হবে লাহোরে। এরপর আগামী ৭-১১ ফেব্রুয়ারি আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচটি রাওয়াল পিন্ডিতে খেলবে টাইগাররা। এদিকে ৩ এপ্রিল করাচিতে ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এ মাঠেই দ্বিতীয় টেস্টেও মুখোমুখি হবে দল দুটি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০